মেহেরপুরে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বইয়ে মিথ্যা তথ্য প্রকাশকারী লেখকের নামে আওয়ামী লীগ পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
আমিরুল ইসলাম অল্ডাম : মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বইয়ে মনগড়া, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য উপস্থাপন করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পরিবারকে যুদ্ধ অপরাধী বানানোর প্রতিবাদে মেহেরপুরের গাংনীতে আওয়ামী লীগ পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুলের পরিবারের সদস্যরা গাংনী উপজেলা শহরের থানা সড়কের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে।
লিখিত অভিযোগ পাঠ করার সময় প্রয়াত আব্দুল মান্নানের ছেলে বাবু গণমাধ্যম কর্মীদের জানান,কথা সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ তার লেখা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক "মেহেরপুর জেলা’ বইয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেছুর রহমান মুকুলের বাবা বিশিষ্ট সমাজ সেবক প্রয়াত আব্দুল মান্নানের নাম মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী শান্তি কমিটিতে ছিল বলে উল্লেখ করেন। যা আমাদের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে। এ লেখক যেন এক সপ্তাহের মধ্যে তার বইটি থেকে আমার বাবা আব্দুল মান্নানের নাম প্রত্যাহার করেন। সেই সাথে বইয়ের লেখককে ক্ষমা প্রার্থনা করতে আইনী নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যেই আব্দুল মান্নানের মেজো ছেলে ও ধানখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাবু আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গ্রন্থ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মেহেরপুর জেলা শিরোনামের বইটি রচনা করেছেন গাংনী এলাকার বাসিন্দা কথা সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ রিজভী। বইটির প্রকাশক ছিলেন ওসমান গনি। আগামী প্রকাশনী নামক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৭ ইং সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
এ বইয়ের ২৭৬ পৃষ্ঠাতে লিপিবদ্ধ করেন এবং পরিশিষ্ট ঘ-২৮৭ পৃষ্ঠাতে বলা হয়, মেহেরপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ব্যক্তিদের সক্রিয় ভূমিকা সম্পর্কে।
তবে ২৮৭ নং পৃষ্ঠার ৬নং লাইনে যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশে অনেক মানুষ ইচ্ছার বিরুদ্ধেও শান্তি কমিটিতে নাম দিতে বাধ্য হয়েছেন। যা তাদের নামের তালিকায় তারকা চিহ্নিত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন,আব্দুল মান্নানের নাম সরকারী ভাবে কোন গেজেটে এধরনের কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। অথচ কথা সাহিত্যক রফিকুর রশীদ মিথ্যা তথ্য স¤\^লিত বই প্রকাশ করে আমাদের পরিবারের মানহানি করেছেন।৭ দিনের মধ্যে বইটি থেকে বাবার নামটি অপসারন না করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। এসময় মোখলেছুর রহমান মুকুল উপস্থিত ছিলেন।