গাংনীতে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন নেতা নৌকার কান্ডারী এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন সবার সেরা

স্টাফরিপোটার   : মেহেরপুরের গাংনীতে ২০ মার্চ,২০২২ দীর্ঘদিন পরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন (কাউন্সিল) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ ১৮ বছর পর বাংলাদেশের একটি বৃহৎ ও গৌরবের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত  মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ রাজনৈতিকদলের কাউন্সিল এর তারিখ নির্ধারিত হওয়ায় নেতা কর্মীদের মধ্যে আনন্দ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছ্ েনেতা কর্মীদের মাঝে দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আসন্ন কাউন্সিল ঘিরে এখন চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। কে হবেন উপজেল্া আওয়ামীলীগের চালিকাশক্তি সভাপতি,কে হবেন  সেক্রেটারী। সেই ভাবনা এখন নেতা কর্মীদের তাড়িত করছে সব সময়।  কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে তবে ইলেকশন হবে না সিলেকশন হবে এ নিয়ে  চলছে নানা মন্তব্য। গাংনীবাসীর অতীত ইতিহাস সকলেরই জানা। বঙ্গবন্ধুর গর্বিত সন্তান ,বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার, গণতন্ত্রের মানসকন্যা  জননেত্রী শেখ হাসিনা  গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। সেকারনে সন্দেহের কোনই অবকাশ নেই।গাংনীতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অর্থ্যাৎ গোপন ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সেক্রেটারী নির্বাচিত হবে। গাংনীতে সকলের আশা আকাঙ্খার প্রতীক গণ মানুষের নেতা সাহিদুজ্জামান খোকন  সবার সেরা। 

স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও গাংনীতে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তেমন যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি। সাংগঠনিকভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে গাংনীবাসী বার বার হোচট খেয়েছে। স্বাধীনতা উত্তর গাংনীতে নূরুল হক সাহেব আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক মেরুকরণের কারনে এবং দলীয় কোন্দলের কারনে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির কাছে বার বার পরাজিত হয়েছে। আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সাথে বিভেদ  দ্ব›েদ্ব  জড়িয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে জয়যুক্ত করে আওয়ামীলীগকে পিছনে ফেলে বড় বড় ঢেকুর তুলে রাজনীতির মঞ্চ কাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামীলীগের ভরাডুবি করে ত্রাাই ইদানিং বড় নেতা পরিচয় দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে  বাড়াবাড়ি করছেন। যারা মূল ধারার রাজনীতি বাদ দিয়ে নিজেদের  হাইব্রিড নেতা পরিচয় দিয়ে নানা পদ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। 

তদানিন্তন পকিস্তানী স্বৈরশাসকদের পরাজিত করতে যেমন  প্রয়োজনের  তাগিদে  বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল।তেমনি গাংনীর আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে  শক্তভাবে হাল ধরেছিলেন ছাত্র আন্দোলনের অগ্রদূত মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।১৯৮৩ সাল থেকে জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু শ্লোগান নিয়ে ছাত্রলীগের ঝাঁঝালো মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিএনপি জামায়াতের মিথ্যা মামলায় যিনি দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছেন। দীর্ঘদিন যিনি পালিয়ে আত্মগোপনে থেকে দলের নেতাকর্মীদের  সাহস শক্তি জুগিয়েছেন।তিনিই আওয়ামীলীগের তথা শেখ হাসিনার পরীক্ষিত সৈনিক ত্যাগী ও সাহসী নেতা সাহিদুজ্জামান খোকন। 

গাংনীর আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা  যখন হতাশ তখনই আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করে  নেতৃত্বে আসেন  শেখ হাসিনার আস্থাভাজন নেতা , গণমানুষের নেতা , উন্নয়নের রুপকার , মানুষের সুখ দুঃখের সাথী , অসহায় মানুষের বন্ধু সাহিদুজ্জামান খোকন। ২১ বছর ধরে পিছিয়ে থাকা সংগঠনের হাল  ধরে নৌকার মাঝি হয়ে তীরে নৌকা ভিড়ালেন। অনেক বাধা বিপত্তি চড়াই উৎরাই পার হয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তিনি আওয়ামীলীগের উন্নয়নের সারথী হয়েছেন। তার তুলনা তিনি নিজেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে , সাহিদুজ্জামান খোকনের  এমপি গওয়ার আগেও কেউ কেউ এমপি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে গাংনীর গণ মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেননি। গাংনীতে ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে বেশ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। এরা নিজেদের জনপ্রিয়তা বা ভোটারদের কাছে গ্রহনযোগ্যতা যাচাই করতে ভুলে গেছে। বর্তমানে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতা কর্মীদের নির্ঘুম রাত কাটছে। হাটে বাজারে, মাঠে ঘাটে , চায়ের দোকানে সব খানেই একটিই আলোচনা কে হবে সভাপতি !  ইলেকশন হবে কি! না কেন্দ্র নেতাদের সিদ্ধান্তে ঘওে বসে সিলেকশন হবে। এ নিয়ে  নেতা কর্মীদের কথা আমরা ইলেকশন চাই। যারা কোনদিন তৃণমূল পর্যায়ের  নেতা কর্মীদের নিয়ে মাঠের রাজনীতির সাথে যোগাযোগ রাখেনি তারাই সিলেকশন  যাচ্ছে।এনিয়ে নেতা কর্মীদের  মাঝে চাপা  ক্ষোভ উত্তেজনা বিরাজ করছে।  নেতা কর্মীদের জরীপে এমপি খোকন  এখন পর্যন্ত জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন।                    




Post a Comment

Previous Post Next Post