গাংনীতে অনলাইনে আবেদনকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা দীর্ঘ। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় যাঁচাই বাছাইয়ে গড়িমসি

মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি  ঃ গাংনী উপজেলায়  অনলাইনে আবেদনকৃত মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা অনেক বড়।  অনেকের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের (জামুকা) ঘোষিত বৈধ কাগজপত্র না থাকায়  উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই ব্ছাাইয়ে দীর্ঘসূত্রিতার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।        স্বাধীনতার ৫০ বছর সুবর্ণ জয়ন্তী শেষেও আজও  এদেশে  মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। বিগত ৫গ বছওে বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের বিপরীতে গেজেট  প্রকাশ করা হয়েছে। অদ্যাবধি সেই সব তালিকাতেও বৈধ কাগজ পত্র না থাকায় নাম তালিকা ভুক্ত করতে পারেননি।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক কমান্ডারসহ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা  জানান,  ১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার  সংজ্ঞা এরকম,‘ ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চের পর এবং ১৬ ই ডিসেম্বরের পূর্ব পর্যন্ত  যে ব্যক্তি তাঁর নিজেস্ব স্বাভাবিক কর্ম, পেশা বা গতি ছেদ করে এবং স্থান ত্যাগ করে ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন শুধুমাত্র তারাই মুক্তিযোদ্ধা’। বিগত বছর গুলোতে অনলাইনে আবেদনকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বৈধ কাগজপত্র যেমন ভারতীয় লাল মুক্তিবার্তা নং নেই, গেজেট নেই, ভোটার সূচক নেই, জাতীয় তালিকায় নাম নেই,প্রকৃত অর্থে ট্রেনিং নেই, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের  সাথে কোন যোগাযোগ স্থাপন করেনি, অনেকেই  ভ্রাতেই য়াইনি, অনেকের  বয়স হয়নি, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে তাদের কোন নাম নেই, এমনকি  প্রয়াত প্রেসিডেন্ট এরশাদ সরকারের সময় বিভিন্ন গণ মাধ্যম বা প্রচার মাধ্যমে  প্রকাশিত কোন নাম তালিকায় তাদেও নাম প্রকাশ করা হয়নি।  এরা প্রকৃত অর্থে মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। অনেক অমুক্তিযোদ্ধা অনলাইনে আবেদন  করেছে। প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যখন অমুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা  সংযুক্ত হবে তখন সেটা রাস্ট্রের জন্য কলঙ্কের হবে। এটা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভেবে দেখা দরকার বলে আমরা মনে করি।

   

 অনেক বড় পদে মানুষ যেতে পারলেও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারবে না। মুুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল থেকে উপজেলার একজন নেতৃত্ব দানকারী , স্থানীয় কমান্ডারকে সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে সদস্য সচিব এবং অন্য একজনকে সদস্য মনোনীত করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট যাচাই বাছাই কমিটি করে দেয় হয়েছিল। উক্ত কমিটিকে অবৈধ বলে অনলাইনে আবেদনকৃত মুক্তিযোদ্ধারা  বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন করেছিলেন। বর্তমানে ঐ যাচাই বাছাইএর আলোকে বেশীরভাগ আবেদনকারী ভূয়া-–ডুপ্লিকেট কাগজপত্র দেখিয়েছেন।  মুষ্টিমেয় কয়েকজন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে সক্ষম হয়েছিলেন। 

গাংনীতে সম্প্রতি অনলাইন মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করতে ৭ সদস্য বিশিস্ট  একটি আহ্বায়ক কমিটি  গঠন করা হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন গাংনী পৌর সভা এলাকার চৌগাছা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম চেবী। তিনি বলেন, গাংনীতে ৩৮৭ জন মুক্তিযোদ্ধা অনলাইনে আবেদন করেছিলেন।  এদের মধ্যেরঅনেকেই  মৃত্যুবরণ করেছেন।বর্তমানে এখনও প্রায় ২ শতাধিক ব্যক্তি জীবিত রয়েছেন।  উপজেলা -জেলা পর্যায়ে আমরা অনেকবার মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছি। এবার আমরা সমগ্র দেশের সাথী ভাইদের নিয়ে ঢাকাতে আন্দোলন করবো। 

গাংনীতে অনলাইনে আবেদনকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা দীর্ঘ। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় যাঁচাই বাছাইয়ে গড়িমসি

  

মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি  ঃ গাংনী উপজেলায়  অনলাইনে আবেদনকৃত মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা অনেক বড়।  অনেকের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের (জামুকা) ঘোষিত বৈধ কাগজপত্র না থাকায়  উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই ব্ছাাইয়ে দীর্ঘসূত্রিতার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।        স্বাধীনতার ৫০ বছর সুবর্ণ জয়ন্তী শেষেও আজও  এদেশে  মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। বিগত ৫গ বছওে বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের বিপরীতে গেজেট  প্রকাশ করা হয়েছে। অদ্যাবধি সেই সব তালিকাতেও বৈধ কাগজ পত্র না থাকায় নাম তালিকা ভুক্ত করতে পারেননি।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক কমান্ডারসহ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা  জানান,  ১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার  সংজ্ঞা এরকম,‘ ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চের পর এবং ১৬ ই ডিসেম্বরের পূর্ব পর্যন্ত  যে ব্যক্তি তাঁর নিজেস্ব স্বাভাবিক কর্ম, পেশা বা গতি ছেদ করে এবং স্থান ত্যাগ করে ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন শুধুমাত্র তারাই মুক্তিযোদ্ধা’। বিগত বছর গুলোতে অনলাইনে আবেদনকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বৈধ কাগজপত্র যেমন ভারতীয় লাল মুক্তিবার্তা নং নেই, গেজেট নেই, ভোটার সূচক নেই, জাতীয় তালিকায় নাম নেই,প্রকৃত অর্থে ট্রেনিং নেই, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের  সাথে কোন যোগাযোগ স্থাপন করেনি, অনেকেই  ভ্রাতেই য়াইনি, অনেকের  বয়স হয়নি, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে তাদের কোন নাম নেই, এমনকি  প্রয়াত প্রেসিডেন্ট এরশাদ সরকারের সময় বিভিন্ন গণ মাধ্যম বা প্রচার মাধ্যমে  প্রকাশিত কোন নাম তালিকায় তাদেও নাম প্রকাশ করা হয়নি।  এরা প্রকৃত অর্থে মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। অনেক অমুক্তিযোদ্ধা অনলাইনে আবেদন  করেছে। প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যখন অমুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা  সংযুক্ত হবে তখন সেটা রাস্ট্রের জন্য কলঙ্কের হবে। এটা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভেবে দেখা দরকার বলে আমরা মনে করি।

   

 অনেক বড় পদে মানুষ যেতে পারলেও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারবে না। মুুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল থেকে উপজেলার একজন নেতৃত্ব দানকারী , স্থানীয় কমান্ডারকে সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে সদস্য সচিব এবং অন্য একজনকে সদস্য মনোনীত করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট যাচাই বাছাই কমিটি করে দেয় হয়েছিল। উক্ত কমিটিকে অবৈধ বলে অনলাইনে আবেদনকৃত মুক্তিযোদ্ধারা  বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন করেছিলেন। বর্তমানে ঐ যাচাই বাছাইএর আলোকে বেশীরভাগ আবেদনকারী ভূয়া-–ডুপ্লিকেট কাগজপত্র দেখিয়েছেন।  মুষ্টিমেয় কয়েকজন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে সক্ষম হয়েছিলেন। 

গাংনীতে সম্প্রতি অনলাইন মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করতে ৭ সদস্য বিশিস্ট  একটি আহ্বায়ক কমিটি  গঠন করা হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন গাংনী পৌর সভা এলাকার চৌগাছা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম চেবী। তিনি বলেন, গাংনীতে ৩৮৭ জন মুক্তিযোদ্ধা অনলাইনে আবেদন করেছিলেন।  এদের মধ্যেরঅনেকেই  মৃত্যুবরণ করেছেন।বর্তমানে এখনও প্রায় ২ শতাধিক ব্যক্তি জীবিত রয়েছেন।  উপজেলা -জেলা পর্যায়ে আমরা অনেকবার মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছি। এবার আমরা সমগ্র দেশের সাথী ভাইদের নিয়ে ঢাকাতে আন্দোলন করবো। 

Post a Comment

Previous Post Next Post