গাংনীতে গৃহবধূ চম্পা হত্যার রহস্য উদঘাটন

Juel Rana pic

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম  ঃ গাংনী পৌর এলাকার পূর্বমালসাদহ গ্রামে গৃহবধূ চম্পা হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। ঘুমনত্ম চম্পাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ডাকাতির নাটক সাজাতে মারা যাওয়া চম্পাকে পূনরায় হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত কর েতার স্বামী জুয়েল রানা। এসময় জুয়েল রানা নিজের মাথায় একটু থেতলিয়ে নেয় এবং আত্মচিৎকার করার নামে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রতিবেশীদের তার বাড়িতে জড়ো করেন।

গাংনী থানা পুলিশ ঘটনার ৫দিন পর সু-কৌশলে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সফল হয়। হত্যাকারী জুয়েল এখন পুলিশের খাঁচায় বন্দি রয়েছেন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মেহেরপুর সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজার কাছে স্ত্রী হত্যার লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন জুয়েল রানা।
স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করে জুয়েল রানাকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উলেস্নখ্য গত ১৪ এপ্রিল দিবাগত রাতে পূর্বমালাসাদহ গ্রামের ছমির উদ্দীনের ছেলে ইটভাটা শ্রমিক জুয়েল রানার স্ত্রীর লাশ বাড়ির আঙ্গিনায় থেকে উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশের একটিদল। ওই সময় বাড়ির অদূরের একটি বাঁশবাগান থেকে চম্পার স্বামী এক সনত্মানের জনক জুয়েল রানাকে আহত অবস’ায় উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের পর জুয়েল রানার পরিবার জানায়, ডাকাতরা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তবে জুয়েল রানার কথা বার্তায় পুলিশের মধ্যে সন্দেহের দানা বাঁধে।
পরের দিন ১৫ এপ্রিল সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে । মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে লাশের ময়না তদনত্ম শেষে নিহত চম্পাকে দাফনের জন্য জুয়েল রানার পরিবারের কাছে হসত্মানত্মর করে। ওইদিন বিকেলে জানাজা শেষে চম্পাকে পূর্বমালসাদহ গোরস’ান ময়না দাফন করা হয়।

হত্যাকারী জুয়েল রানার লোকহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান সাংবাদিকদের আরো জানান, জুয়েল তার মা ও স্ত্রীর নামে একটি এনজিও থেকে কিছু টাকা লোন দিয়ে শ্বশুরকে দেয়। এ টাকা পরিশোধ নিয়ে স্ত্রীর সাথে জুয়েল রানার প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ ঝগড়ার জের ধরে জুয়েল রানা স্ত্রী হত্যার নকশা আঁকে। এবং সে অনুযায়ী হত্যাকান্ড ঘটায়। গত শনিবার গাংনী থানার ওসি (তদনত্ম) সাজেদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটিদল জুয়েলকে গাংনী উপজেলা শহরের হাসপাতাল বাজার এলাকা থেকে আটক করে। আটকের পর জুয়েল রানা প্রথমে গাংনী থানায় হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। পরে তাকে আদালতে নিলে,পুরো ঘটনার বর্ণনা দেয়। আটকের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ওড়না ও হাসুয়া উদ্ধার করা হয়।
এদিকে চম্পা হত্যার রহস্য উদঘাটন হওয়ায় সর্ব সাধারণ পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post