টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি। ছবি: ফোকাস বাংলা
প্রয়োজন হলে এক লাখ টন পেঁয়াজ বাজারে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দরকার হলে আগামী ৪০ দিনের মধ্যে এক লাখ টন পেঁয়াজ ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজারে নিয়ে আসব। গত ছয় দিন ধরে মিশর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ ঢুকতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফারস হোটেলে এক মতবিনিময় সভায় এসব বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। ‘নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধকল্পে ব্যবসায়ী সমাজের করণীয়’ সম্পর্কে এই মতবিনিময় সভা হয়।
সংকট মোকাবেলায় আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমদানিতে যাওয়া ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ-তারা বলেছে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টন পেঁয়াজ দেবে। সবচেয়ে আনন্দের কথা তারা বলেছে, তারা এক টাকাও প্রফিট করবে না। যত কোটি টাকা লাগে ইনভেস্ট করবে। পেঁয়াজে কোনো মুনাফা না করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া এই প্রতিষ্ঠানগুলো আমদানি খরচের যে হিসাব দিয়েছে, তাতে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের ব্যয় ৪২ টাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ব্যবসায়ীদের সুযোগ নেওয়ার কথা জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ভারত যখন পেঁয়াজ বন্ধ করে দিল, সেদিন সন্ধ্যার সময়ে ঢাকার বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কথা নয়। পেঁয়াজ তো তখন স্টকে ছিল, কোনো কোনো ব্যবসায়ী সঙ্গে সঙ্গে সেই সুযোগটা নিয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বলা হচ্ছে, বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। পদত্যাগ করতে আমার এক সেকেন্ডও লাগবে না। তাতে পেঁয়াজের দাম যদি ঠিক হয়, তাহলে আমার তো কিছু যায় আসে না। এই মন্ত্রিত্ব কাজ করার জন্য, জব করার জন্য।