গাংনীতে মধ্যবয়সী গৃহবধূকে মাঠে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা। ২দিন পর থানায় অভিযোগ

ধর্ষনের চেষ্টা
আমিরুল ইসলাম অল্ডাম : গাংনী উপজেলার মহিষাখোলা (স্কুলপাড়া) গ্রামে দিনে দুপুরে মাঠে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেশী বখাটের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষন অভিযোগ দায়ের করা হলে আত্মগোপনে থাকা লম্পটকে পুলিশ আটক করতে পারেনি।গত শনিবার সকালে লাঞ্ছিত রেহেনা খাতুন (৪৮) বাদী হয়ে গাংনী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠছে একটি প্রতারক চক্র। গাংনী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে বাদী মজিবর রহমানের স্ত্রী রেহেনা খাতুন ও তার পরিবার কে অব্যাহতভাবে প্রাণ নাশের হুমকী দেওয়ার অভিযোগ তুলে এর প্রতিকার দাবি করেছেন তারা । রেহেনার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে মহিষাখোলা গ্রামের নাপতিগাড়ির মাঠে স্বামীকে খাবার দিয়ে ফেরার পথে প্রতিবেশী ঈদগাহ পাড়ার খোকনের ছেলে মুদি দোকানদার রকিবুল ইসলাম (২৫) একা পেয়ে প্রথমতঃ অর্থের লোভ দেখিয়ে মাঠের তূলা ও কলা (বাগান) ক্ষেতের মধ্যে টেনে হেচড়ে নিয়ে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হয়। সে সময় রেহেনার পরনের শাড়ী ও ব্লাউজ টেনে ছিড়ে ফেলে এবং স্পর্শকাতর স’ানে হাত দিয়ে লাম্পট্য চালায়। অভিযোগ করে আরও বলেন, অভিযুক্ত লম্পট রকিবুলের বিরুদ্ধে এর আগেও নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছ্‌ে।মাদকাসক্ত-নেশাখোর রকিবুলের স্ত্রী স্বামীর নানা অপকর্ম ও মাতলামীর কারনে বাবার বাড়ী চলে গিয়েছ্‌ে। এসব কারনে বেশ কিছুদিন যাবৎ রকিবুল মেয়েদের উত্যক্ত করে আসছিল।
স’ানীয় ইউপি সদস্য বসিরউদ্দীন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,ধর্ষনের বিষয় টি গত রবিবার মিমাংসা করার জন্য কোনপক্ষ এগিয়ে না আসায় সমঝোতা সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে ধর্ষিতার স্বামী মজিবর রহমান জানান, আমি গরীব, অসুস’, অক্ষম মানুষ। বিষয়টির সুষ্ঠু বিচারের জন্য গ্রামের মাতব্বরদের জানিয়েও কোন বিচার পাইনি।আমার ইজ্জত নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলেছে অমি তাদের উপযুক্ত বিচার চাই। রেহেনা খাতুন জানায় , আমি এ রকম পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামী জেলদাগী লম্পটের উপযুক্ত বিচার চাই।

ধর্ষনের চেষ্টা

অন্যদিকে লম্পট রকিবুলের বাবা খোকন জানান,আমরা ঘটনা শোনার পর আমাদের পরিবারের আলী কদর, কালামসহ ৩/৪ জনকে সাথে নিয়ে মজিবরের বাড়ীতে হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে গেলেও তারা মামলা করেছে। পরিবারের একাধিক সদস্যরা জানায়, রেহেনা খারাপ প্রকৃতির মহিলা। সে মিথ্যা কথা বলে মামলা করেছে।গ্রামে আমাদের এশটি প্রতিপক্ষ আছে। অতি উৎসাহিত কয়েকজন য়ড়যন্ত্র এবং উস্কানী দিয়ে মামলা করাচ্ছে।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, লাঞ্ছিত রেহেনা খাতুন থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর ইতোমধ্যেই লম্পট রকিবুল সম্পর্কে জানার জন্য থানার ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলামকে তদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা জানতে মহিষাখোলা গ্রামে তদন্ত করেছেন। ওমিস তদন্ত সাজেদুল ইসলাম জানান, রকিবুলকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি॥ সে আত্মগোপনে রয়েছ্ে‌।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post