(মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আবিদা সুলতানা (৩৫) নামে এক নারী আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে।
খবর পেয়ে ওই রাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও বড়লেখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার পর থেকে আবিদার বাবার বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া মাওলানা তানভীর আহমদ (৩০) পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ, নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের তিন মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি দ্বিতীয় মেয়ের স্বামীর বাড়ি বিয়ানীবাজারে থাকেন। আব্দুল কাইয়ুমের তিন মেয়েই বিবাহিত। তাদের মধ্যে আবিদা সুলতানা (৩৫) বড়। আবিদা মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী। স্বামী শরীফুল ইসলাম একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে মৌলভীবাজার শহরে বসবাস করতেন। তাদের বাবার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে উপজেলার চরকোনা গ্রামের মনির আলীর ছেলে মাওলানা তানভীর আহমদ থাকতেন।
২৬ মে রবিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টায় আবিদা বিয়ানীবাজারে বোনের বাড়িতে থেকে জরুরি প্রয়োজনে বাবার বাড়িতে যান। বিকেল আনুমানিক চারটার দিকে আবিদার বোন তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাচ্ছিলেন না। পরে আবিদার বোনেরা তাকে খুঁজতে বাবার বাড়ি দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামে আসেন। বাড়িতে এসে তারা কাউকে পাননি। এ সময় ঘরের একটি কক্ষ বন্ধ দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা পুলিশ নিয়ে গিয়ে ঘরের মেঝেতে বোনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহত আবিদার বোনের স্বামী মারুফ আহমদ বলেন, দু’দিন আগে তিনি আমাদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। রবিবার সকালে আবিদা আপা মৌলভীবাজারে যাওয়ার জন্য আমাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছিল না। ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আমার স্ত্রী খুঁজতে এখানে (মাধবগুলে) আসেন। বাড়িতে একটি কক্ষ বন্ধ দেখতে পান। পরে পুলিশ নিয়ে গিয়ে কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াছিনুল হক বলেন, নিহতের মাথা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি
করা হয়েছে। সকালে লাশ মর্গে পাঠানো হবে। ভাড়াটিয়া তানভীরের মা ও স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।