গত দু’দিন ধরে ইলিশ মিললেও গতকাল বুধবার এখানকার বৃহত্ মত্স্য আড়ত পোর্ট রোডে আড়াই হাজার মনের বেশি ইলিশ বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এখানকার মৎস্য আড়তদার সমিতির প্রচার সম্পাদক ইলিশ ব্যবসায়ী ইয়ার উদ্দিন সিকদার। তিনি জানান, বর্তমানে সাগরের চাকের যে ইলিশ মিলছে তা ৫শ গ্রাম থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত। এভাবে ইলিশ মিললে বোট মালিক, জেলেসহ পাইকাররাও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন। কেননা মৌসুমে ইলিশ পাওয়ার আশায় সবাই ধার-দেনা করে বসে আছেন। কিন্তু মওসুমের অনেক দিন পার হয়ে গেলেও নদী কিংবা সাগর থেকে ট্রলারগুলো ফিরছিল শূন্য অবস্থায়।
সাগর থেকে বোট বোঝাই ইলিশ নিয়ে ফেরা ইউসুফ মাঝি কেবিডিনিউজ কে জানান, প্রত্যেকটি বোটে ২৫ থেকে ৩০ মণ ইলিশ বোঝাই করে তারা মোকামে ফিরছেন। এতে তাদের খরচ শেষে লাভের পরিমাণ ভালো থাকছে। একাধিক জেলে জানান, ছোট সাইজের পাশাপাশি বড় সাইজেরও প্রচুর ইলিশ মেলায় তারা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছেন। গতকাল সাগরের ৫শ’ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ ১৮ হাজার এবং এক কেজি সাইজের ইলিশ ৫৫ হাজার টাকা প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে।
মৌসুমের প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হলেও ইলিশ না মেলায় এখানকার মানুষ ইলিশের স্বাদ পায়নি। সাগরের নোনা পানির ইলিশের দাম কম হওয়ায় অনেকেই কিনতে পারছেন। গতকাল বুধবার পোর্ট রোডের মোকামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে দাম কম হওয়ায় ৪/৫ জন মিলে একমণ দেড় মণ করে মাছ কিনে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। আবার অনেকে খুচরা ২/৪ কেজিও কিনছেন।
জেলা মত্স্য দপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস জানান, সাগরে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মিলছে বলে তাদের কাছেও তথ্য রয়েছে। তবে সাগরে বর্তমানে বৈরী আবহাওয়া রয়েছে। আবহাওয়ায় স্বাভাবিক হলে গত দু’দিন যাবত্ যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তার চেয়েও বেশি পরিমাণে ইলিশ মিলবে। তিনি বলেন, সাগরের পাশাপাশি নদীতেও ইলিশ মিলবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে।
বৃ