সাভারের চামড়া শিল্পনগরের এই ভাগাড়েই জমা হচ্ছে ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য।
বছরখানেক আগে যেভাবে নদীদূষণ হতো, তা এখনো বন্ধ হয়নি। বর্জ্যের ভাগাড়ের বাঁধ ভেঙে বারবার তা নদীতে পড়ছে। পাইপলাইন উপচে বর্জ্য নালা দিয়ে নদীতে গিয়ে মিশছে। সিইটিপি থেকে যে পানি নদীতে ফেলা হচ্ছে, তাতেও মাত্রার চেয়ে বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকছে।
এ অবস্থায় ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসছে। আগামী মাসে শিল্পনগরে ট্যানারিগুলো তাদের পুরো সক্ষমতা ব্যবহার করে চামড়া প্রক্রিয়া শুরু করবে। উদ্যোক্তারা বলছেন, গত ঈদুল আজহার মতো এবারও খারাপ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। ট্যানারির উৎপাদনে হয়তো কোনো সমস্যা হবে না, কিন্তু নদীদূষণের মাত্রা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঈদুল আজহার পর সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে শিল্পসচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, চামড়া প্রক্রিয়াকরণে বিশেষ কোনো সমস্যা হবে না। কঠিন বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা রয়েছে। তরল বর্জ্য পরিশোধনের জন্য সিইটিপি ভালোভাবে চলছে। তিনি বলেন, এবার পরিদর্শন দল থাকবে। তারা তদারকি করবে।
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে গত বছর এপ্রিলে হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোর গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও টেলিফোন সংযোগ বন্ধ করে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। ফলে ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হয় ট্যানারিগুলো। সাভারের হেমায়েতপুরে ধলেশ্বরী নদীর তীরে ১৯৯ দশমিক ৪০ একর জমিতে বিসিকের গড়ে তোলা চামড়া শিল্পনগরে জমি পাওয়া ১৫৪টি ট্যানারির মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১৩ ট্যানারি উৎপাদন শুরু করেছে। বাকিরা পিছিয়ে আছে।