খুনির স্বীকারোক্তি বরিশালে অপহরণের পর হত্যা করে ড্রাম ভর্তি লাশ ভাসিয়ে দেয়া হয় নদীতে

 

বরিশালে অপহরণের পর হত্যা

বরিশাল থেকে গৌতম কুমার দে : নগরীর বৌদ্ধপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল আজাদকে নথুল্লাবাদ এলাকা থেকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণের পর চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে রুপাতলী এলাকায় একটি বাসায় ড্রামের ভেতরে লাশটি ঢুকিয়ে মাহেদ্রযোগে বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচর নামক এলাকায় ড্রামভর্তি লাশটি নদীতে ফেলে দেয়া হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরিকল্পিত এ হত্যাকা-ের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন গ্রেফতারকৃত মেহেদী হাসান রনি। গতকাল শুক্রবার সকালে খুনীর বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন
বিমানবন্দর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রহমান মুকুল।

এরআগে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল আজাদের খুনি মেহেদী হাসান রনিকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে। পরে সে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমটাই স্বীকারোক্তি দিয়েছে। গ্রেফতারকৃত মেহেদী হাসান রনি বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচর গ্রামের মশিউর রহমানের পুত্র।

সূত্রমতে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর বৌদ্ধপাড়া এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল আজাদ রহস্যজনকভাবে নথুল্লাবাদ এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ওই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নিখোঁজের স্ত্রী। পরবর্তীতে সাধারণ ডায়েরির তদন্তে প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবসায়ীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সিম খুনি মেহেদী হাসান রনির বসতঘরের মাইক্রো ওভেনের মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর রনিকে গ্রেফতারের পর পুরো ঘটনা প্রকাশ হয়ে যায়।

খুনির বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, আব্দুল্লাহ আল আজাদকে অপহরণের পরে তার স্ত্রীর কাছ থেকে খুনি রনি বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু অপহরণের পর পরই আব্দুল্লাহ আল আজাদকে খুন করে মেহেদী হাসান রনি লাশটি রুপাতলী এলাকায় তার ভাড়াটিয়া বাসায় ড্রামের ভেতরে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে ড্রামভর্তি লাশটি মাহেন্দ্রযোগে বাবুগঞ্জ নিয়ে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। ওই লাশটি ২১ ফেব্রুয়ারি বাবুগঞ্জের বাহেরচর নদীরপাড় থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। অর্ধগলিত লাশটির কোন পরিচয় না পেয়ে সেটি বেওয়ারিশ হিসেবে মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post