গাংনী খাদ্য গুদামে টি-আর প্রকল্পের চালের হদিস নেই

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম : গাংনী উপজেলায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি-আর-খাদ্যশস্য)কর্মসূচীর অধীনে নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক বিশেষ খাতের ১ম পর্যায়ে বাস্তবায়িত প্রকল্পের চুড়ান্ড প্রতিবেদন দাখিল করা হলেও প্রায় ৪ মাস পর অব্যয়িত ২ মেঃ টন খাদ্যশস্যের খাদ্যগুদামে কোন হদিস পাওয়া যায়নি।এছাড়া ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জি-আর খাতের অনুত্তোলিত ৭৫ কেজি চালেরও কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা। এনিয়ে খাদ্য অফিস দুষছেন পিআইও অফিসকে।
উপজেলা প্রকল্প বাসত্মবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রড়্গণাবেড়্গণ (টি-আর-খাদ্যশস্য)কর্মসূচীর অধীনে নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক বিশেষ খাতের ১ম পর্যায়ে স’ানীয় সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের পড়্গ থেকে ২৩৪ টি প্রকল্পের বিপরীতে ৩ শ’ মেঃ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া যায় । কিন’ ২৩৪ টি প্রকল্পের মধ্যে ২ টি প্রকল্পে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজ না করায় চাউল ছাড় দেয়া হয়নি। আরও জানা গেছে, গাংনী থানাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়নকল্পের পিআইসি কাজল এর নামে ১ মেঃ টন ও ভোলাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকে সোলার প্যানেল লাগানোর জন্যে আব্দুল গণির নামে ১ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হলেও তারা উক্ত চাল উত্তোলন করেননি। এই প্রকল্পের চুড়ানত্ম প্রতিবেদন নির্ধারিত ছকে প্রেরণ করা হয়েছে এবং উপজেলা গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কমিটির সভায় যথারীতি অনুমোদন করা হয়েছে। অন্যদিকে অগ্নিকান্ডে ড়্গতিগ্রস’ ৩ টি পরিবারের মাঝে প্রতিটির জন্য ২৫ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হলেও ড়্গতিগ্রস’ পরিবার সেই চাল গ্রহন বা উত্তোলন করেন নি। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জি-আর খাতের অনুত্তোলিত ২৫ কেজি হারে সর্বমোট ৭৫ কেজি চালেরও কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা। এড়্গণে খাদ্য অফিসের রিপোর্ট চাওয়া হলে তারা পরস্পর দোষারোপ করছে।
এব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আয়েশা খাতুন জানান, আমি সব কিছু বলতে পারবো না। আমার গ্রদামের ওসিএলএসডি নজরম্নল ইসলাম সব বলতে পারবেন। তবে আমার জানা মতে খাদ্য গুদামে কোন অব্যয়িত চাল নেই। আমার কাগজপত্র ঠিক আছে।আমাদের অফিসে কোন অনিয়ম হয়নি। প্রকল্প বাসত্মবায়ন অফিস (পিআইও) নিজেরা উক্ত চাল আত্মসাৎ করে খাদ্য অফিসের ঘাড়ে দোষ দিচ্ছে। ওসিএলএসডি নজরম্নল ইসলাম জানান, পিআইও অফিস নিজেদের দোষ ঢাকতে নানা টালবাহানা করছে।
অন্যদিকে পিআইও প্রকৌশলী দিলিপ কুমার সেন জানান, ২৩৪ প্রকল্পের মধ্যে ২ মেঃ টন চাল অব্যয়িত রয়েছে এই মর্মে ৪ মাস আগে খাদ্য অফিসের নিকট থেকে চুড়ানত্ম প্রতিবেদন রিসিভ কপি নেয়া আছে। অতএব খাদ্য অফিসের এরকম ছলচাতুরি করার কোন সুযোগ নেই।
এব্যাপারে পরস্পর বিরোধী দোষারোপের অবসানসহ এই চক্রানত্ম বা অনিয়ম দুর্ণীতির সাথে জড়িতদের বিরম্নদ্ধে আইনগত ব্যবস’া নিতে সচেতন মহলের দাবী উঠেছে।
আমিরুল ইসলাম অল্ডাম

Post a Comment

Previous Post Next Post