বগুড়ায় গ্রামবাসীর টাকা ও শ্রমে কালভার্ট নির্মাণ

বগুড়া প্রতিনিধি :   আস্থানীয়রা জানান, চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের এই গ্রামে প্রায় ৩ হাজার পরিবারের বসবাস। গ্রামের মাঝখান থেকে উত্তর দিকে চলে গেছে মেঠোপথ। ওই রাস্তার দুই পাশে ফসলি জমি।র রাস্তার শুরুতে রয়েছে দেইড়া নামে একটি খাল। ওই খাল পার হয়ে নসরতপুর গ্রামের মানুষকে উত্তর দিকের পাঁচ গ্রামে যাতায়াত করতে হয়, যা খুবই কষ্টসাধ্য। উত্তরের গ্রামগুলোতে যাতায়াত সহজ করতে দেইড়া খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণ করা প্রয়োজন। প্রায় ৪০০ মিটার প্রশস্ত দেইড়া খাল। শুষ্ক মৌসুমে পানিশূন্য থাকলেও বর্ষাকালের ৬ মাস খাল থাকে পানিতে টইটুম্বুর।
দীর্ঘদিন ধরে এই খাল পারাপারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে সংযোগ সড়কসহ কালভার্ট নির্মাণের দাবি করে আসছিল গ্রামবাসী। কিন্তু কেউ সে দাবি পূরণ করেননি।

নসরতপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক রেজভি আহম্মেদ ও ব্যবসায়ী আফছার আলী বলেন, গ্রামের মানুষ এক হয়ে নিজেদের স্বেচ্ছাশ্রম ও চাঁদায় খালের দুই পাশে সংযোগ সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। ওই গ্রামের হবিবুর রহমান জানান, প্রায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করতে লক্ষাধিক টাকা খরচ হবে। গ্রামের মানুষ এক হয়ে সামর্থ অনুযায়ী এই টাকা চাঁদা দিয়েছেন। যারা অর্থ দিতে পারেননি তারা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে কালভার্ট নির্মাণ কাজে অংশ নিয়েছেন।

ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা জুয়েল বলেন, নসরতপুর গ্রামের দেইড়া খালের দুই পাশে সংযোগ সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন ছিল। এজন্য এই সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণের বিষয়টি অনেকবার প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু উপজেলা পরিষদ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না দেয়ায় কাজটি করা সম্ভব হয়নি।

Post a Comment

Previous Post Next Post