নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর পোরশা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র সারাইগাছী মোড় থেকে গাঙ্গুরিয়া পর্যন্ত ২ কি.মি. সড়কের এখন বেহাল দশা। সড়কটি ২ কি.মি. হলেও এর গুরুত্ব অনেক। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে অসংখ্য ছোট-বড়সহ ভারী যানবাহন চলাচল করে। বর্তমানে সড়কটির যেখানে সেখানে ঘন ঘন আর বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে সময়মতো কোনো গাড়িই গন্তব্য স্থলে পৌঁছাতে পারছে না। এতে করে যাত্রীসাধারণ চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন।
জানা যায়, পোরশা উপজেলার সারাইগাছী মোড় থেকে গাঙ্গুরিয়া বাজার মাত্র ২ কি.মি.।
এ ২ কি.মি. রাস্তা দিয়ে সারাইগাছী থেকে সাপাহার হয়ে জেলা শহর নওগাঁ যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২০ মি. পর পর লোকাল বাস যাতায়াত করতেই থাকে। এছাড়াও সাপাহার থেকে ছেড়ে গাঙ্গুরিয়া-সারাইগাছী হয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ১টি বিআরটিসি ও ১টি মালিক সমিতির গাড়ি প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে।
সাপাহার উপজেলার মধ্যে দিঘিরহাট গরু মহিষের জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী হাট হওয়ায় এবং সাপাহার শহরটি পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলার থেকেও অনেক উন্নত হওয়ায় এ দুই উপজেলার মানুষদের বাজার করতে যাওয়ার জন্য ঐ রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হয়। এছাড়াও মঙ্গলবার গাঙ্গুরিয়া সপ্তাহিক হাট হওয়ায় এবং হাটটি এ এলাকার মধ্যে সর্ববৃহৎ হওয়ায় গোটা উপজেলার মানুষসহ পাশের উপজেলাগুলোর মানুষও এখানে বাজার করতে আসেন। এছাড়াও গাঙ্গুরিয়া বাজারে একটি ডিগ্রি ও কারিগরি কলেজ, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল থাকায় প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ রাস্তাতে ব্যাপক যানজট দেখা যায়।
অথচ বর্তমানে সড়কটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যেখানে সেখানে দেখা দিয়েছে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দে ভরা।
সারাইগাছী থেকে গাঙ্গুরিয়া বাজার পর্যন্ত পুরো ২ কি.মি. রাস্তাজুড়ে এখন শুধু গর্ত আর গর্ত। প্রতিদিন এ সড়কে অসংখ্য ভারী যানবাহন চলাচল করায় একেবারেই নাজুক হয়ে গেছে সড়কটি।
বৃষ্টি হলেই গর্তগুলো পানিতে ডুবে যায়। ফলে সড়কটিতে যান চলাচল এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভাঙা রাস্তা হওয়ায় প্রতিদিনই সড়কটির কোথাও না কোথাও ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই থাকছে।