মেহেরপুরের পোল্ট্রি শিল্প চরম অনিশ্চয়তায়

মুহম্মদ মহসীন:  মেহেরপুরের যুব সম্প্রদায়ের একটি অংশ নব্বই এর দশকে পোল্ট্রি শিল্প নিয়ে স্বপ্ন বুনতেন মনের উঠানে। কিনত্ম আজ সেই পোল্ট্রি শিল্পের সম্ভাবনাগুলো অনিশ্চয়তায় চরমভাবে খাচ্ছে ঘোরপাক। হাজার হাজার যুবক পোল্ট্রি শিল্পকে ঘাড় সোজা রাখতে গিয়ে নিজেরাই হয়েছেন অর্থনৈতিকভাবে ড়্গতিগ্রস্থ। এই শিল্পের অনেকেই আজ বলছেন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্যই নানা সংকটে পড়ে একের পর এক খামারগুলো বন্ধ ঘোষণা করছে। স্বচ্ছলতার আশায় খামার করে অনেকেই পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন ইতিমধ্যেই। নব্বই দশক থেকে মেহেরপুর অঞ্চলে পোল্ট্রি শিল্পের ব্যাপকতা পায় গড়ে উঠে হাজার খানেক পোল্ট্রি শিল্প। তখনকার সময় সরকারীভাবে উদ্বুদ্ধ করা হতো প্রতিটি পোল্ট্রি শিল্পকে। অথচ আজ পোল্ট্রি শিল্প খাত থেকে সব সুবিধা গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছে তাই এই শিল্পটি ক্রমশঃ ছোট হয়ে আসছে। কমতে কমতে শ’দুয়েক হয়তো অবশিষ্ট রয়েছে এই শিল্প ব্যবস্থাদি। অন্যদিকে বেকার যুব সম্প্রদায় তার দিনে পেয়েছিল কর্মসংস্থানের পথ। এবিষয়ে তরম্নন উদ্দোক্তা ও জেলা পোল্ট্রি শিল্প সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম  (খোকন) এই দৈনিকটির জেলা প্রতিনিধিকে বলেন পোল্ট্রি শিল্প আজ অলাভজনক ব্যবসা হয়ে গেছে। কেননা একটা সময় ছিল যখন পোল্ট্রির খাদ্য কিনতাম ৫০০ টাকা বসত্মা অথচ আজ সেই খাদ্য কিনতে হয় ২২০০ টাকা দরে। এছাড়াও তিনি বলেন বিগত দিনে স্থানীয় পোল্ট্রি শিল্পে থাবা বসায় বার্ড ফ্লু’র মত ভয়ানক রোগ। যাতে ফাকা হয়েছিল একাধিক খামার। সেইসাথে শত শত মুরগীকে জীবিত মারা হয়েছিল।

Post a Comment

Previous Post Next Post