স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান সরকারকে ‘গণবিরোধী ও অবৈধ’ আখ্যায়িত করে রিজভী বলেন, এ সরকার দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে সকল সেক্টর ধ্বংসের পর আবারো গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণের মতো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমায় বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমেছে। তারপরেও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে সরকারের দুর্নীতির ব্যাপ্তি আরো বৃদ্ধির জন্য। বিদ্যুতের মূল্য বাড়ালে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে জনগণ আরো ভোগান্তির শিকার হবে বলে তিনি দাবি করেন ।
তিনি বলেন, রাজকোষ থেকে জনগণের শত শত কোটি টাকা চুরি হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে সরকারি ব্যাংকগুলো লোপাট, শেয়ার বাজার থেকে লক্ষ-কোটি টাকা আত্মসাত করে দেশের সম্পদের বিরাট অংশ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা দেশের অর্থনীতিতে কাফন পরিয়ে দিয়েছে।
সরকার গণমাধ্যম বন্ধসহ সম্পাদক ও সাংবাদিকদের গ্রেফতার-নির্যাতন ও দমন নিপীড়নের মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। একই সঙ্গে সকল গণমাধ্যমকে সরকার প্রবল হুমকির মুখে রেখেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, অবৈধ সরকার বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে যে নিয়ন্ত্রণ করছে সে বিষয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে। বর্তমান সরকার দুর্নীতি চেপে রাখার জন্যই শুধু মানুষের কণ্ঠরোধ করছে।
তিনি বলেন, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাহসী সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে তিন বছর ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটক করে রেখেছে বর্তমান অবৈধ সরকার। মাহমুদুর রহমানকে তিলে তিলে নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। তিনি বার বার উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও মিথ্যা ও রাজনৈতিক হীনউদ্দেশ্য নিয়ে তাকে শ্যোন এরেস্ট দেখিয়ে কারা প্রকোষ্ঠে আটকে রাখা হচ্ছে।
কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় নতুন করে মাহমুদুর রহমানকে আটক দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়া সম্পূর্ণ অমানবিক ও সরকারের নিষ্ঠুর প্রতিহিংসা চরিতার্থেরই বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেন বিজভী।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর আবদুল লতিফ জনি প্রমুখ