গাংনীা রামনগর গ্রামে রাস্তায় বেড়া দেয়ায় অসহায় পরিবার গৃহবন্ধী



                               গাংনীা রামনগর গ্রামে রাস্তায় বেড়া দেয়ায় অসহায় পরিবার গৃহবন্ধী 


আমিরুল ইসলাম অল্ডাম   : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে বাড়ির রাস্তায় প্রভাবশালীরা বেড়া দেয়ায় দরিদ্র পরিবারের লোকজন গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে। উপায়ান্তর না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ,স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্প ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা কামনা করেও কোন সুরাহা পায়নি ভুক্তভোগী  শাহজাহান শাহ।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, রামনগর গ্রামের শাহ পাড়ার  সিদ্দিক শাহর ছেলে দরিদ্র শাহজাজান শাহ দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করে আসছেন।  শাহজাহানের পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছে, সেই রাস্তাটি হঠাৎ করে আজ শুক্রবার (১ এপ্রিল) দুপুরের দিকে  বাঁশের রেলিং এর বেড়া ও ডাল পালা দিয়ে ঘিরে দেয়। তার বাড়ির মধ্যে আমি জমি পাবো। সেই জমিও আমাকে দখল না দিয়ে উপরন্তু আমার বাড়ির রাস্তা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বেড়া সরিয়ে নিয়ে পরিবারের লোকজনকে যাতায়াতের সুযোগ দিতে অনুনয় বিনয় করলেও প্রতিপক্ষ মৃত লিয়াকত শাহর ছেলে আলম শাহ,ভাই মুক্তার শাহ, আফতাব শাহ ও মকবুল হোসেন শাহ শাহজাহানকে ও তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি  দিতে থাকে। ভুক্তভোগী শাহজাহান জানান, আমি বর্তমানে খুব বিপদেও মধ্যে রয়েছি। বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। অন্যের বাড়ির ভিতর দিয়ে যাতায়াত করছি। আমি নিরুপায়। আমি এখন কি করব্ োআমার প্রতিপক্ষ আলম শাহ এর পক্ষ নিয়ে তার ভাই মুক্তার , আফতাব ও মকবুল আমাকে প্রাননাশের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এমনকি আমার বাড়ি ঘর ভেঙ্গে দিয়ে উচ্ছেদ করারও  পায়তারা চালাচ্ছে। আমি সংশ্লিষ্ট বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত রয়েছেন। একাধিকবার সালিস মিমাংসার বসে সিদ্ধান্ত হলেও এখন তারা ফয়সালা অমান্য করে বেড়া দিয়েছে। কিন্তু তারা গাংনী থানার ওসি এমনকি চেয়ারম্যানের রায় বা সালিশ মানবে না বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ আলম শাহ জানান, আমি আমার নিজস্ব সীমানা দিয়ে বেড়া দিয়েছি।  সঠিক পরিমাপ হলে আমি তার ঘরের অর্ধেক সীমানা পর্যন্ত জমি পাবো। এতদিন সে উক্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেন এখন রাস্তা দেবেন না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এর আগে  রাস্তা দিয়েছি। এখন দেবো না। সরেজমিনে বিষয়টি জানতে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে রাস্তা অবরোধ করার ঘটনার সত্যতা মিলে। আলম শাহর ভাই মুক্তার আলী শাহ একপর্যায়ে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয় এবং অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলে। 

রাস্তা বন্ধের বিষয়টি নিয়ে বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান কমল এর সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, এটা নিয়ে অনেকবার স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ও  গ্রাম্য লোকজনদের নিয়ে সালিশ বৈঠক করে নিষেধ করা হয়েছে। তারা আর রাস্তা বন্ধ করবে না বলে মুচলেকা দেয়। 

ছেলে মেয়ে পরিবার নিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা সইতে না পেরে এমনকি তাদের অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে শাহজাহানের পিতা সিদ্দিক শাহ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। এমতাবস্থায় সুবিচার পেতে  শাহজাহান দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। সকলের কাছে সুষ্ঠু ফয়সালা পেতে অনুরোধ জানিয়েছেন। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। 

    







Post a Comment

Previous Post Next Post