আমিরুল ইসলাম অল্ডাম ঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামে পরকীয়া প্রেমের টানে ১ সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রী ঘরছাড়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ১ সপ্তাহ যাবত ঘরছাড়া হলেও পরকীয়া প্রেমিকের বাড়ীতে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে বিয়ে না করে একসাথে বসবাস করলেও সামাজিকভাবে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এ ঘটনায় এলাকায় মুখরোচক গল্প বলে চারিদিকে ভাইরাল হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার রামনগর গ্রামের বুদু শেখের ছেলে বিপ্লব হোসেনের সাথে পার্শ্ববর্তী দৌলতপুর উপজেলার তেকালা গ্রামের আনারুলের মেয়ে রিমার সাথে ৯ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৭ বছর বয়সী রাকিব নামের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। বিপ্লবের বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। গ্রামে গ্রামে ফেরি কওে কোন রকম দিনাতিপাত করেন। স্ত্রী সন্তান ও পরিবারের সুখের কথা ভেবে বিপ্লব অনেক কষ্টে টাকা পয়সা ম্যানেজ করে ৫/৬ মাস আগে মালয়েশিয়া প্রবাস করতে বিদেশে পাড়ি জমায়। এদিকে রিমা খাতুন নানা অযুহাতে স্বামী শ্বশুর পরিবারের দুর্নাম ছড়িয়ে প্রতিবেশী বাবলুর ছেলে যুবক আলমগীরের প্রেমে হাবুডুবু খেতে থাকে। এবিষয় গ্রামে জানাজানি হলেও বুদু একটি শিশু সন্তানের কারনে বউমাকে সংসারে মেনে নিয়েছেন। এবারে গত ৯ এপ্রিল সন্ধ্যার কোন এক সময় রিমা পরকীয়া প্রেমের টানে প্রতিবেশী আলম গীরের হাত ঘরে পালিয়ে যায়। এক সপ্তাহ পর বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ মেলামেশা শেষে অবশেষে গতকাল শুক্রবার রাতে বাড়িতে ফিরে আসে। আরও জানা গেছে, বাড়িতে ফিওে আসার আগে কুষ্টিয়া কোন এক নোটারী পাবলিক থেকে রিমা খাতুন তার প্রবাসী স্বামী বিপ্লবকে গত ১/১/২০২৩ ইং তারিখে ডিভোর্স দিয়েছে মর্মে তালাক নামা গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এছাড়া ৯ এপ্রিলে ঘরছাড়া হলেও ১০ এপ্রিল তারা নোটারী পাবলিক থেকে বিয়ে করবে মর্মে এ্যফিডেভিট করে তাও পাঠিয়ে দেয়। এসব প্রক্রিয়া কাগজে কলমে সারলেও বিয়ের পিড়িতে তারা বসে নি। পুত্রবধূ ঘরছাড়া হওয়ার কারনে শ্বশুর বুদু শেখ গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও এর কোন প্রতিকার পাননি। শ্বশুর বুদু শেখ জানান, আমার ছেলেকে ছেড়ে গিয়েছে এতে আমার কোন ক্ষোভ নেই। আমার পরিবারের নগদ ১ লাখ টাকা, গলার চেইন, কানের দুল, আংাট এবং একটি বিদেশী মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে সেগুলো ফেরত চাই। ঘটনার সত্যতা জানতে রিমা খাতুনের সাথে অঅলাপকালে রিমা জানায়, আমি কোন টাকা পয়সা নিয়ে আসিনি। আমার শ্বশুর দেবর মিলে আমাকে মারধর করে গহনা টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে। আমরা বিয়ে করেছি। আমি বিপ্লবের বাড়িতে আর ফিরে যাব না।
সরেজমিনে গিয়ে তাদের বিয়ের কাবিন নামা দেখতে চাইলে তারা নানা অযুহাত দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু দেখাতে পারেনি। এনিয়ে গ্রামের অনেকেই বলাবলি করছেন যে, রিমা শ্বশুর বাড়িতেই অবস্থান করছিল। তাহলে সাড়ে ৩ মাস আগে ডিভোর্স দিয়ে স্বামীর বাড়িতে ছিল কিভাবে ! অন্যদিকে কাবিন নামা বা বিয়ে না করে ৭ দিন অবৈধভাবে ঘর সংসার করছে কিভাবে? নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে পরকীয়া প্রেমিকজন।
এব্যাপারে বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান কমল জানান, আমার গ্রামের ঘটনা । আমি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুটা জেনেছি।প্রবাসী বিপ্লবের স্ত্রীকে আলমগীর নিয়ে গেছে। শুনেছি তারা নাকি বিয়ে করেছে।আমি গ্রাম্য সালিশ বসিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেবো। আর বিয়ের কাবিন নামা নেই এ কথাটি আমি লোকমুখে জানতে পারলাম। এ বিষয়ে সামাজিকভাবে বিচার করা হবে।