(নওগাঁ) সংবাদদাতা : শ্রমজীবী আর সাধারণ মানুষের যেন নাভিশ্বাস উঠেছে। নিয়ামতপুরের শাহিন আলম তার ছোট বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার সকালে বাজার করতে এসেছিলেন গাবতলী বাজারে। শাহিন আলম একজন দিনমজুর। উপজেলার মালঞ্চী গ্রামে একটা ছোট্ট ঘরে স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে বসবাস করেন। বাজারে এসেছিলেন ব্রয়লার মুরগি কেনার জন্য।
দোকানে দোকানে ঘুরে দরদাম মেলাতে পারছিলেন না। তিনি বলেন, মাছ মাংস খাওয়ার দিন শেষ, সবজিতেই এখন গরিবের ভরসা।শাহিন আলম বলেন, সারা দিন মানুষের কাজ করে যা আয় করি তা দিয়ে মাছ, মাংস আর খাওয়া যাবে না। বাজারে এসে চাল, ডালে, তেল ও সবজি কিনতেই ফুরিয়ে যায় টাকা। গরিবের সাধ আছে কিন্তু কেনার সাধ্য নেই। গরুর মাংস কেনা বাদ দিয়েছি অনেক আগেই। ব্রয়লার মুরগি দিয়ে পরিবারের মোটামুটি পুষ্টির চাহিদা মেটাতাম। এখন যে দাম বেড়েছে, তাতে ব্রয়লার মুরগি কেনারও উপায় নেই। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিয়ামতপুর কাঁচাবাজার এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের সদস্য সুরুজ পাহান বলেন, সারা দিন মানুষের জমিতে কাজ করে বিকালে এসেছি কাঁচাবাজারে কিছু সবজি কিনতে। পেট আছে তো, খেতে হবে, যত দিন বেঁচে আছি। বাজারে এসে দেখি সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে। মাছ ও মশলার দামও বেড়ে গেছে। চাল, ডাল, তেলের কথা তো বাদই দিলাম। তিনি আরও বলেন, মাংসের দাম বাড়ার পর মাংসের দোকানে আর ফিরেও তাকাই না।