ভাটপাড়া নীলকুঠি এখন ডিসি ইকো পার্ক। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠলেও নেই কোন উন্নয়নের ছোঁয়া



আমিরুল ইসলাম অল্ডাম : 

অযন্তে অবহেলায় আর রক্ষণাবেক্ষনের অভাব আর প্রভাবশালীদের ইন্ধনে সভ্যতার স্মারক গাংনীর ভাটপাড়া নীলকুঠির বেশীরভাগ জায়গা (জমি) বেদখলে ছিল । পর্যটন বা বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠলেও নেই কোন উন্নয়নের ছোঁয়া। বর্তমানে ডিসি ইকো পার্ক নামে পর্যটন কেন্দ্রটি অযতœ অবহেলায় পড়ে রয়েছে। পার্কের দৃশ্যমান আকর্ষনীয় পশু পাখীগুলোর প্রতিমূর্তি ফ্যাকাসে -বিবর্ণ হয়ে পড়লেও নেই কোন সংস্কারের উদ্যোগ। উদ্যানে রোপিত গাছগুলোর নেই কোন পরিচর্যা। 

জানা যায়, মেহেরপুর অঞ্চলে ১৭৭৮ সালে ক্যারল ব্লুম নামে এক ইংরেজ ব্যক্তি নীলকুঠি স্থাপন করেন। ভাটপাড়া নীলকুঠিটি কাজলা নদীর তীরে ২৩ একর জমির ওপর অবস্থিত। সাহেবদের প্রমোদ ঘর ও শয়ন রুম সংবলিত দ্বিতল ভবনটি জীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। কাঁচারি ঘর, জেলখানা,মৃত্যুকুপ ও ঘোড়ার ঘর বিলুপ্ত প্রায়। দামি মার্বেল পাথর আর গুপ্তধনের আশায় এলাকার প্রভাবশালীদের  ইন্ধনে ভেঙে ফেলা হয়েছে। দামি ও ফলজ বৃক্ষ হয়েছে নিধন। বাকি অংশ গড়ে উঠেছে আবাসন প্রকল্প। 

কালের স্বাক্ষী ভাটপাড়া কুঠি বাড়িতে এখনও অনেক পর্যটক আসলেও ধ্বংসাবশেষ দেখে হতাশ হয়েই ফিরতে হয়। অদ্যাবধি  পার্কের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পরাধীনতার শিকলে বন্দি থাকাকালিন শোষক এবং শাসকদের নির্যাতনের নির্মম স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক ভাটপাড়া নীলকুঠি সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেয়া হলেও  অনিন্দ্য সুন্দর  এই দর্শনীয় স্থানটি এখনও  পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারেনি । জেলা প্রশাসকের   সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী। 





Post a Comment

Previous Post Next Post