সাতক্ষীরায় ১৪৪চিকিৎসকের পদ শূন্য,

        সাতক্ষীরায় ১৪৪চিকিৎসকের পদ শূন্য,

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি  :সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, সাতক্ষীরা বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় ও ইউএসসি সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে মোট ২১৮টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে। এসব পদের মধ্যে মাত্র ৭৪ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। বাকি ১৪৪টি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পদই শূন্য রয়েছে। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে চিকিৎসকের পদ রয়েছে তিনটি। এর মধ্যে মেডিক্যাল অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ২৭টি। এর মধ্যে সিনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), সিনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিয়া), জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (পেডিয়াট্রিকস), জুনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (প্যাথলজি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (বিষয়বিহীন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (রেডিওলজিস্ট), এমও (আয়ুর্বেদ)সহ ১১ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পদই শূন্য রয়েছে। জেলার একমাত্র বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের দুটি পদের মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট, বক্ষের পদ দীর্ঘ দিন যাবত শূন্য রয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে তিনটি পদ থাকলেও জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিয়া) ও মেডিক্যাল অফিসার (ডিসি)-এর পদ শূন্য। আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ১০টি পদের বিপরীতে জুনিয়র কনসালটেন্ট যথাক্রমে অ্যানেসথেসিয়া, সার্জারি, মেডিসিন, গাইনি ও  মেডিক্যাল অফিসার একজন, ডেন্টাল সার্জনসহ ছয় জন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পদই শূন্য রয়েছে। দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ২২টি। এরমধ্যে ১৭ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পদই শূন্য রয়েছে। তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২১টি পদের মধ্যে ১৪ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২১টি পদেও মধ্যে ১৫ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পদই শূন্য রয়েছে। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২১টি পদের মধ্যে ১৭ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ১০টি পদের মধ্যে পাঁচ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজরিহা হোসেন জানান, প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ লোক বৈধভাবে পাসপোর্টে এই পথ দিয়ে ভারতে যায়। এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ মেডিক্যাল ভিসা  নিয়ে যাচ্ছে।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো. সবিজুর রহমান বলেন, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালটি ১০০ বেডের হাসপাতাল হলেও এখানে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ রোগী অন্তঃবিভাগের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকে। এছাড়া প্রতিদিন বহির্বিভাগ প্রায় ৪৫০ এবং জরুরি বিভাগে ৭০ থেকে ৮০ জন রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হয়। সব মিলিয়ে সদর হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়ে। কিন্তু এসব রোগীর সেবা দেওয়ার জন্য যেসব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকার কথা, সেসব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ দীর্ঘ দিন যাবত শূন্য হয়ে আছে।

 

 

  

Post a Comment

Previous Post Next Post