![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhA0tjl0EYN8KfPZyCb48BAcSxj9nOYxbLKrpHTtO2Ta5h1kaN9rGtSQnotOavRkZoerFBmmb3ec4_sB0rSdP9Aq-9J00NWaxphcO7zTxY9-6GAZQ_ynwnrnsg38_Jn7IgoNzDlSnLHFET5oHHzaL2Xhcow9g1WzP1q16BDhAq_Z0xwvHhXz5BnkEennQ/s320-rw/kommel.PNG)
কক্সবাজার থেকে রাফিউল: প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অভিভাবকহীনতার কারণে পিছিয়ে রয়েছে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ।পাশাপাশি
চিকিৎসাবঞ্চিত
হচ্ছে
কক্সবাজারের
২৮ লাখ জনগণ এবং বেড়াতে আসা অগণিত পর্যটক।
কাটছে
না শিক্ষক ও কর্মচারীর সংকটও।
এতে
ব্যাঘাত
ঘটছে
পাঠদানসহ
প্রশাসনিক
কর্মকাণ্ডেও।সূত্রমতে, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের একটি ছোট ইউনিটে ২০০৮-২০০৯ সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে কমেকের যাত্রা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৬ মে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেও অদ্যাবধি এর নির্মাণ শুরু হয়নি। শত শত রোগী শয্যার অভাবে সদর হাসপাতালের ফ্লোরে চিকিৎসা নিচ্ছে। একটু জটিল সমস্যা নিয়ে এলেই তাকে পাঠানো হচ্ছে চট্টগ্রামে কিংবা ঢাকায়। এতে অনেক রোগী মাঝপথে মারা যাচ্ছে।কমেক হাসপাতাল নির্মাণ উদ্যোগের পরিবর্তে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০১০ সালের নভেম্বরের শুরুতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালকে অস্থায়ী কমেক হাসপাতাল ঘোষণা করে। যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের নির্লিপ্ততায় ছোট্ট ভবনের অস্থায়ী ক্যাম্পাসটিও মূল ক্যাম্পাসে নেওয়া যায়নি। অথচ ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhKmQfeMyMCFJXKIe6Wg7wKl9_85vIvBU3Wv9_9FcDLqn5nYSLZ_v33uDYknerbBmEEiMVolvmPchUlqQVl_w94UmyszbGW0CqURELq3YLFLGChWJnKkQ8hS-wzT0Q4gu9r9vyVqnMPuxMkmWrlGnm04Aa0llcgGNi9IK5tVyBl97ZS_xxFIG8cOScDXQ/s320-rw/kommel.PNG)
কলেজ সূত্র জানায়, একজন অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পর্যায়ে ৮৯টি শিক্ষকের পদ থাকলেও ২০১৬ সালে মাত্র ৪২ জন শিক্ষক দিয়ে যাত্রা শুরু হয়, যাদের অধিকাংশ প্রভাষক। এখনো ১৫টি অধ্যাপক পদে মাত্র দুই জন কর্মরত, বাকি পদ শূন্য। সহযোগী অধ্যাপকের ২৩ পদে রয়েছে ৯ জন, সহকারী অধ্যাপকের ২৪ পদে ২৪ জন এবং লেকচারার ২৪ জনের ২৪ জনই আছেন। ওএসডি মূলে ২৩ জন সহকারী অধ্যাপককে কলেজে সংযুক্তি দিলেও মূলত জুনিয়র শিক্ষকদের দিয়ে কলেজটির কার্যক্রম জোড়াতালিতে চলছে। এর পরও সাম্প্রতিক ফাইনাল পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ১৪ মেডিক্যাল কলেজে পাশের হারে শীর্ষে ছিল কমেক।কমেকের শুরু থেকেই কর্মচারীর তীব্র সংকট ছিল, যা এখনো বিদ্যমান। রাজস্ব খাতে ৩৪টি তৃতীয় শ্রেণির পদ সৃষ্টি হলেও এক চিঠির মাধ্যমে তা ২৪ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। ২৪ জনেও কর্মরত পাঁচ জন, এক জন সংযুক্তি, আরেক জন প্রেষণে কাজ করছেন। আর আউটসোর্সিং ৪৫ পদ সৃষ্টি হলেও তা কমিয়ে ২০ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। কর্মচারীর পদ অদ্যাবধি শূন্য থাকায় কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে। ১০ তলার একাডেমি ভবনে ছয়তলা পরিপূর্ণ হলেও বাকি রয়েছে আরো চারতলা নির্মাণ। দুটি হোস্টেল ছয়তলা করে হওয়ার কথা থাকলেও তিনতলা সম্পন্ন করে বাকি তিনতলা অসম্পূর্ণ রাখায় শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে অবস্থান করতে হয়। অন্যদিকে, মহাসড়ক থেকে ৯২০ ফুট দূরত্বে কলেজের ক্যাম্পাস পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে কাঁটাতারের বেড়া বা দেওয়াল না থাকায় নিত্যদিন রাস্তার দুপাশেই যত্রতত্র গাড়ির পার্কিং ও বখাটেদের উত্পাত থাকে।
জানা গেছে, আজ প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার আগমন উপলক্ষ্যে জনসভায় দাবির তালিকায় কমেক হাসপাতাল নির্মাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নতুন যেসব প্রকল্প দাবি করা হয়েছে, সেখানে কমেক হাসপাতালটিও স্থান পেয়েছে।
কমেকের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর (ডা.) রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি চিকিৎসক। তাই প্রজন্মের জন্য ভালো চিকিৎসক গড়তে প্রতিষ্ঠানের জন্য যা ভালো তা-ই করার চেষ্টা করেছিলাম।’
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) কক্সবাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, কক্সবাজারের বড় ইস্যু রোহিঙ্গা সমস্যা। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসাসেবায়। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেক। তাই কমেকে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ হলে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের সেবা বাড়বে। চিকিৎসা জট কমবে সদর হাসপাতালে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেন, ‘ভুল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনার (ডিপিপি) কারণে কমেকের হাসপাতাল নির্মাণটি অর্ধযুগ ধরে আটকে রয়েছে। বৈদেশিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তই এই হাসপাতাল প্রকল্প পেছানোর মূল কারণ। তবে মানসম্মত চিকিৎসক তৈরিতে একটি মেডিক্যালে পরিপূর্ণ হাসপাতাল অপরিহার্য। আমরা বসে নেই, কক্সবাজারসহ আরো চারটি হাসপাতাল জিও ফান্ডে সম্পন্ন করতে ডিপিপি ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাশ হয়েছে। একনেকে পাশ হলে, শিগিগরই হাসপাতাল নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হবে।’