মেহেরপুরে আপত্তিকর ছবি ভাইরালের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির মামলায় কথিত সাংবাদিক প্রিয়া খানসহ আটক ৫

 


মেহেরপুরে আপত্তিকর ছবি ভাইরালের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির মামলায় কথিত সাংবাদিক প্রিয়া খানসহ আটক ৫    

স্টাফরিপোটার  ঃ   ক্যামেরায় গোপনে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও তুলে ব্লাকমেইল ও অপহরণের ভয় দেখিয়ে চাদা আদায়ের অভিযোগে ফেস বুক পেইজের অনলাইনের কথিত সাংবাদিক প্রিয়া সহ পাচজনকে আটক করেছে ডিবি ও সদর থানা পুলিশের একটি দল্।এসময়  তাদের নিকট থেে নগদ ১৭ হাজার টাকা ও পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।  গতকাল মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের  আটক করা হয়।  আটককৃতরা হলেন, নাটুদাহ ্ইউনিয়নের দুলাল নগর গ্রামের নাজমুল  হোসেনের মেয়ে নাজনীন খান প্রিয়া,মেহেরপুর শহরের ঘোষপাড়ার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী রুমানা ইয়াছমিন, দুলাল আলির ছেলে শাহজাহান আলী, আখের আলীর ছেলে হাসান আলী,  ও  চুয়াডাঙ্গার  চারুলিয়া  গ্রামের রাসেল আহমেদের মেয়ে বিলকিস রাবেয়া টুম্পা। 

প্রতারণামূলক ভাবে  অসামাজিক ছবি ভাইরালের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে নাজনীন খান প্রিয়া নামের নারীর নামে মেহেরপুর সদর থানার একটি মামলা হয়েছে। মেহেরপুর সদর উপজেলার  আমঝুপি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মনোয়ার হোসেন নাজনীন খান প্রিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দুলাল নগর গ্রামের নাজমুল হোসেন খানের মেয়ে নাজনীন খান প্রিয়া মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউকে চাকরীকালীন সময়ে মনোয়ার হোসেনের সাথে পরিচয় হয়। একই সাথে চাকরি করাকালীন সময় চলতি বছরের ২৩ আগষ্ট নাজনীন খান প্রিয়া মনোয়ার হোসেনকে মেহেরপুর মউকের অফিসের ছাদে ডেকে নেয়। ঐ  প্রিয়ার  সাথে ঘনিষ্টভাবে বেশ কয়েকটি ছবি তোলে।  । পরবর্তীতে প্রিয়া চাকরী চ্যুত হওয়ার পর প্রিয়া মনোয়ারের সাথে আগের তোলা ছবি পত্রিকার ছাপানো সহ বিভিন্ন ভাবে ভাইরাল করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। মান সম্মানের ভয়ে মনোয়ার হোসেন গত ১৯ অক্টোবর প্রিয়াকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন। ঐ ঘটনার পর আরো টাকা দাবি করলে মনোয়ার হোসেন বাী হয়ে দঃ বিঃ ৪১৭.৩৮৫.৫০৬ পেনাল কোড একটি মামলা দায়োর করেন।  যার মামলা নং-৩২।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, নাজনীন খান প্রিয়া মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মনোয়ার হোসেনের (ছদ্ম নাম) আপত্তিকর ছবি ধারণ করে তাকে ব্লাক মেইল করে ২ লাখ টাকা চাদা দাবি করে বলেন আরও টাা দিতে হবে। নইলে  ছবি ফেস বুকে ভাইরাল করে দেয়া হবে।  এ ঘটনায় অভিযুক্ত টুম্পার বাড়িতে থেকে আলি হোসেনকে উদ্ধার করা হয় এবং মামলার মূল আসামীসহ ৪ জনকে অটক করা হয়।  আটককৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 


  



Post a Comment

Previous Post Next Post