মেহেরপুরে আশা এনজিও'র পিয়ন নিখোঁজ ঃ অফিসে রক্তের ছাপ। সন্দেহের তীর ম্যানেজারের দিকে

 


                                                     ছবিঃ   আমিরুল ইসলাম অল্ডাম

স্টাফরিপোটার  ঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের বাওট বাজারস্থ আশা এনজিও'র পিয়ন হৃদয় হোসেন (১৮) রাত থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। তবে নিখোঁজ হৃদয়ের কর্মস্থল আশা এনজিও’র অফিসের সিঁড়িতে রক্তের ছাপ পাওয়া গেছে। 

নিখোঁজ হৃদয় পাশ্ববর্তী ছাতিয়ান গ্রামের মিন্টু হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসাবে ওই এনজিও'র শাখা ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আমিনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাংনী থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ম্যানেজার আমিনুল কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এলাকার বাসিন্দা বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।

শনিবার দিবাগত রাতে বাড়ি থেকে বাইরে গিয়ে সে আর ফিরে আসেনি। 

এদিকে খবর পেয়ে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিখোঁজ হৃদয় হোসেনের ভাই বিজয় হোসেন জানান,শনিবার রাতে আমার ভাই হৃদয় হোসেনের অফিসের ম্যানেজার আমিনুল ইসলামের সাথে ৪-৬জন আমাদের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করেন। সেই সাথে হৃদয়কে সাথে করে রাতেই অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরে সে বাড়ি ফিরে না আসলে,আজ রোববার সকালে তার কর্মস্থল বাওট বাজারস্থ আশা এনজিও’র অফিসে গিয়ে দেখি সে নাই। এমনকি অফিসের কেউ নাই। শুধু অফিসের সিঁড়িতে রক্তের ছাপ রয়েছে। ম্যানেজার আমিনুলের সাথে অফিসের এক নারী স্টাফের অবৈধ মেলামেশা দেখে ছিল হৃদয়। সে থেকে ম্যানেজার তাকে হুমকি প্রদানও করেছিলেন। ওই রাগে ম্যানেজার আমার ভাই হৃদয়কে অফিসের মধ্যে ঠান্ডা মাথায় হত্যা শেষে লাশ গুম করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 


                                                       ছবিঃ   আমিরুল ইসলাম অল্ডাম

হৃদয় হোসেনের মা আক্তার বানু জানান,ম্যানেজারের কারণেই আমার ছেলে হত্যা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। যেহেতেু,রক্তের ছাপ পাওয়া গেছে। তাই আমার ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান,ঘটনার ক্লু-উদ্ধারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অফিসের ম্যানেজার আমিনুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। 





Post a Comment

Previous Post Next Post