মেহেরপুরের গাংনীতে শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবতীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ

 


মেহেরপুরের গাংনীতে শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবতীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ


আমিরুল ইসলাম অল্ডাম ঃ মেহেরপুরের গাংনীতে শারীরিক প্রতিবন্ধী রেক্সোনা খাতুন (২৮) নামের এক যুবতীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি  ঘটেছে, গাংনী উপজেলার ভবানীপুর মধ্যপাড়া গ্রামে। গত বুধবার বিকেলে বাড়ীতে মা-বাবা নেই জেনে দিনের বেলায় একা পেয়ে রেক্সোনাকে জোরপূর্বক একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় রেক্সোনার আর্তচিৎকার শুনে তার ছোট ভাই রাজু অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় দেখে ফেললে ধর্ষক পালিয়ে যায়।লম্পট আর কেহ নয়। ধর্ষিতা রেক্সোনার আপন চাচাতো ভাই দুলাল মহলদারের ছেলে ৩ সন্তানের জনক মনিরুল ইসলাম (৪৫)। শারীরিক প্রতিবন্ধী রেক্সোনা খাতুন ভবানীপুর গ্রামের  মজনু মহলদারের মেয়ে।  ঘটনার পর থেকে ধর্ষক মনিরুল  ইসলাম আত্মগোপনে রয়েছে।  

ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী  কুচক্রীমহল নানাভাবে পায়তারা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। উল্টো ধর্ষিতার পরিবারকে মামলা না করতে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মজনু মহলদারের ২ ছেলে ও ২ মেয়ে। রেক্সোনা শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায়  উপযুক্ত বয়স পেরিয়ে গেলেও বাবা তার বিয়ে দিতে পারেননি। সেকারনে বাবার বোঝা হয়ে ঘরেই রয়েছে। অন্যদিকে একই গোষ্ঠীর লোক সম্পর্কে চাচাতো ভাই দুলাল মহলদারের ছেলে  মনিরুল ইসলাম (মেয়ে জামাইয়ের অভিভাবক) সুযোগ নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে।  লাম্পট্যের খবর জানাজানি হলে লম্পট মনিরুল ইসলাম পালিয়ে গেছে ।



ঘটনার সত্যতা জানতে সরেজমিনে গেলে আলাপকালে রেক্সোনা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার দিন আমার মা চিকিৎসা নিতে রাজশাহীতে ছিলেন। আমার বাবা বাড়ির বাইরে দোকানে ছিলেন। এই সুযোগে মনিরুল ইসলাম আমাকে  কোলে তুলে নিয়ে আমাদের একটি রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।  কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এসময় আপত্তিকর অবস্থায় আমার ছোট ভাই রাজু দেখে ফেললে সে পালিয়ে যায়। এখন আমি কি করবো। আমার বাবা মা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে। আমি এখন কি করবো ।আমি বিয়ের দাবি করে তার বাড়িতে গেলে  মনিরুলের স্ত্রী রোজিফা খাতুন, তার  মেয়ে আয়েশা খাতুন ওরফে মুন্নী, এবং জামাই শান্ত আমাকে মারপিট করে  আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।আমাকে বিয়ে না করলে আমি  তাকে ছেড়ে দিব না।  আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। 

এব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জহির রায়হান জানান, আমার ক্যাম্পের অদূরের ঘটনা।  ৯৯৯ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে যায়। ঘটনা সব শুনে আমি মেয়েটি মামলা করা পরামর্শ দিয়েছি। 

অন্যদিকে মনিরুলের স্ত্রী রোজিফা খাতুন জানান, আমার স্বামীকে নিয়ে তারা ষড়যন্ত্র করছে। মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। আমি এবং আমার মেয়ে- জামাই তাকে মারপিট করি নাই। তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে ঢাকায় সাংবাদিকতা করেন। এবং আমার জামাই আর্মি অফিসার।  আপনারা তাকে জড়িয়ে কিছু লিখবেন না।তবে মোবাইল ফোনে মুন্নী জানায়, আমি ঢাকাতে লেখাপড়া করি। আমার স্বামী একজন আর্মি জব করে। আমরা কেউ রেক্সোনাকে মারি নাই।  

এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত  রেক্সোনা খাতুনের পিতা মজনু জানান, সুষ্ঠু বিচার পেতে থানায় ধর্ষণ মামলা করতে গেলে থানার পুলিশ অফিসার মামলা নিতে গড়িমসি করছেন  এবং মিমাংসা করে ফেলার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন বলে জানা গেছে। 

এ ব্যাপারে গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান,  আমি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানিনা। ঘটনা সত্যি হলে অবশ্যই মামলা নেয়া হবে। 




Post a Comment

Previous Post Next Post