গাংনীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৪


আমিরুল ইসলাম অল্ডাম ঃ মেহেরপুরের গাংনীতে উচ্চ শব্দে ইট বোঝাই ট্রলি নিয়ে  যাওয়া এবং পিছনের মোটর সাইকেল চালককে সাইড না দেয়ার  মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২ গ্রাম বাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৪জন আহত হয়েছেন। এক পক্ষের আহতরা হলেন- গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের বাহাগুন্দা গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৫০),আনারুল  ইসলামের ছেলে আমিনুর রহমান (১৮),জুগিন্দা গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে ট্রলি চালক কালু শেখ (৪৫),বাহাগুন্দা গ্রামের ইটভাটা মালিক নুরুল ইসলাম (৪৮),তার ছেলে নান্নু মিয়া (২৪),একই গ্রামের লালনের ছেলে ইটভাটার ম্যানেজার তোফাজ্জেল হোসেন (৪৫),খোকসা গ্রামের ড্রেজার চালক মাহিদুল ইসলাম (২৭),বাহাগুন্দা গ্রামের আব্দুল্লাহ (২৪) ও নিরব হোসেন (১৭)। অন্য পক্ষের আহতরা হলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার ইসলাম নগর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে শাহীন আলী (২৬), শহিদুল ইসলামের ছেলে আবু তাহের রনি (২৪),একই গ্রামের মিঠু মিয়া (২৫),আব্দুর রহমান (৪৭),আকরাম হোসেন (২২)।

 বুধবার দুপুরের দিকে  জুগিন্দা-বাহাগুন্দা ও ইসলামনগর গ্রামের মধ্যবর্তি স্থানে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে খবর শুনে মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানা পুলিশের একাধিকদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।

স্থানীয়রা জানান,নুরুল ইসলামের ইটভাটার একটি ট্রলি বাহাগুন্দা-ইসলামনগর সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় পিছন দিক দিয়ে ওভারটেক করার সময় মোটরসাইকেলের সাথে সামান্য ধাক্কা লাগে। ওই ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোগী রহমান আলী সামান্য আহত হন। এ নিয়ে ইসলামনগর গ্রামের  লোকজন ট্রলি চালককে মারধর করেন। পরে ইটভাটা মালিক নুরুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মিমাংসার জন্য  গেলে ইসলামনগর গ্রামের মিঠু,রনি,আকরাম,রুহুল ও জহিরসহ তাদের লোকজন নুরুল ইসলামকে হামলা করেন। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৪জন আহত হয়। আহতরা গাংনী ও মেহেরপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তবে আহত দেলোয়ার ও কালু শেখের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে,তাদেরকে বুধবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।  এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানা পুলিশের একাধিকদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

ইটভাটা মালিক নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন ট্রলিতে একজন আহত হয়েছে এমন খবর পেয়ে আমি বিষয়টি নিয়ে একটা সুরাহার জন্য এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে মিমাংসার জন্য ঘটনাস্থলে যায়। এসময় ইসলামনগর গ্রামের লোকজন আমাকেসহ আমার লোকজনকে হামলা করেন।

এদিকে,অন্যপক্ষের কয়েকজন জানান,নুরুল ইসলাম নিজে তার লোকজন নিয়ে আমাদের লোকজনকে হামলা করেন। 

  



Post a Comment

Previous Post Next Post