মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মেীসুমী খানমের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহমুদ আলম (৬৮) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না ........... রাজেউন)।
আজ শনিবার সন্ধ্যার দিকে কুষ্টিয়ার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।শনিবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে তাঁর প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
মরহুম মাহমুদ আলম স্ত্রী ও ১ ছেলে এবং ১ মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এর আগে মরহুম মাহমুদ আলমের মরদেহ কুষ্টিয়া থেকে গাংনীতে নেয়া হলে তাঁকে এক নজর দেখতে ছুটে যান গাংনী পৌনসভার মেয়র আহম্মেদ আলী, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আব্দুর রাজ্জাক, গাংনী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদুল হক জুয়েল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাষ্টার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী নিরঞ্জন চক্রবর্তী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, মাহফুজুর রহমান, কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা, তেঁতুলবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিঃ. কাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলম হুসাইন, বামন্দী চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান কমল, মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, ষোলটাকা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পাশা, সাহারবাটি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, ধানখোলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান আখের, গাংনী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিরুল ইসলাম অল্ডামসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা , রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ আলমের মরদেহ দ্বিতীয় জানাযা করার জন্য রাতেই তার নিজ গ্রাম নড়াইলের লোহাগড়ায় নেয়া হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ আলম কিছুদিন পূর্বে তার একমাত্র মেয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম ওরফে সুমির বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন্। গত বৃহস্পতিবার তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ঐদিন তাকে গাংনী থেকে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রবিবার সকাল ১১ টার সময় লোহাগড়ায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।