আজ ২৫ ডিসেম্বর, শুভ বড় দিন

image_298196

স্টাফ রিপোর্টার :  আজ ২৫ ডিসেম্বর, শুভ বড় দিন। বেথেলহেমের এক গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির কোলে জন্ম নিয়ে বিপথে যাওয়া মানুষের আলোর দিশারী হয়ে এদিন পৃথিবীতে আসেন যিশুখ্রিস্ট। ঈশ্বরের অপার মহিমা ও মানবজাতিকে পাপ থেকে মুক্তির জন্য যিশুখ্রিস্টের জন্ম হয়েছিল বলে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস। ‘পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা’ করার বড়দিন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব।

আজ ২৫ ডিসেম্বর, শুভ বড় দিন

দুই হাজার বছর আগে ২৫ ডিসেম্বরের এই দিনে পৃথিবীতে এসেছিলেন খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে প্রভু যিশুর এই ধরায় আগমন ঘটে। বেথলেহেমে কুমারী মাতা মেরির কোলে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার, মানবজাতিকে পাপ থেকে মুক্তি দিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে পৃথিবীতে আগমন ঘটে যিশুর। খ্রিস্টীয় মতে, যিশু ঈশ্বরের পুত্র এবং জগতের সব মানুষের ত্রাণকর্তা। শাসকের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি শোষিত, বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষ নিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি ওই সময়ের শাসকের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং মাত্র ৩৩ বছর বয়সে তাকে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে জীবন দিতে হয়েছিল। জিঙ্গেল বেলের সুরে সুরে ক্রিসমাস আসে আনন্দের উপলক্ষ নিয়ে। যিশুর জন্মের বহু বছর পর থেকে বিশ্বের খ্রিষ্টানরা এ দিনটিকে আনন্দ ও মুক্তির দিন হিসেবে পালন করতে শুরু করেন। ৪৪০ সালে পোপ এ দিবসকে স্বীকৃতি দেন। তবে উৎসবটি জনপ্রিয়তা পায় মধ্যযুগে। সে সময় এর নাম হয় ‘ক্রিসমাস ডে’। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই ক্রিসমাস দিবস সরকারি ছুটির দিন। অস্ট্রেলিয়ার খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা আনন্দ ও নানা আয়োজনের মধ্যে পালন করছে দিনটি। প্রবাসী বাংলা ভাষাভাষীরাও এই আনন্দের সঙ্গী হয়েছে। আজ সরকারি ছুটির দিন।
বড়দিন উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির দেশ। তিনি একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও অসামপ্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

আজ ২৫ ডিসেম্বর, শুভ বড় দিন

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশ সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির দেশ, যেখানে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্মীয় বিধান পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বড়দিন খ্রিস্টান ও অন্যান্য সমপ্রদায়ের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় করবে।
এ ছাড়া বড়দিন উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বাণীতে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশন দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post