Kbdews ডেস্ক: মোজাম্বিকের উত্তর-পূর্ব প্রদেশের কাবো দেলগাদোয় ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে গলাকেটে হত্যার ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এক বিবৃতিতে তার মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল-জাজিরার। সমপ্রতি দেশটির কাবো দেলগাদোয় একটি গ্রামে নারী-শিশুসহ ৫০ জনেরও বেশি মানুষেকে গলাকেটে হত্যা করেছে সশস্ত্র জঙ্গিরা। তবে এর সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন ওই এলাকার এক প্রত্যক্ষদর্শী। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে কাবোর দেলগাদোর উত্তরের বিশাল অংশে সমপ্রতি কয়েক মাস ধরে নিয়মিতভাবে আক্রমণ চালিয়ে আসছে দেশটির বিদ্রোহীরা। এ হত্যাকা-ের ঘটনাটি সেটারই একটা অংশ। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে সিএনএন বলছে, গত ৩১ অক্টোবর থেকে বেশ কয়েক দিন ধরে কাবো দেলগাদো এলাকায় টানা নৃশংস হত্যাকা- চালিয়ে আসছে সশস্ত্র জঙ্গিরা। হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া দেশটির মাইদুম্বে জেলার এক বাসিন্দা বলেন, তার পরিচিত অন্তত ৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ পচে যাওয়ার আগে তাদের মাথা কেটে গর্তে ও রাস্তার পাশে ফেলে দেয় সশস্ত্র জঙ্গিরা।
প্রাণনাশের ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, কাবো দেলগাদো থেকে মাইদুম্বে পালিয়ে আসতে চাওয়া একটি দলে তার মা-ও ছিলেন। তারা যখন বুঝতে পেরেছিল যে বিদ্রোহীরা পুরো শহর দখল করে রেখেছে, তখন তারা পালানোর চেষ্টা করে। পালানোর সময় বেশ কয়েকজনের মরদেহ দেখতে পেয়েছিল তারা। জঙ্গিরা সেখানকার ঘরবাড়িগুলো পুড়িয়ে দিচ্ছে। গ্রামগুলো থেকে এখনও ধোঁয়া উড়ছে। জেলার এক পুরোহিত বলেন, তার পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে।
আর আত্মীয়-স্বজনসহ অন্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। প্রাণ হারানোর ভয়ে সবাই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে গত সোমবার মোজাম্বিক পুলিশ দেশটির গণমাধ্যমকে জানায়, শহরের একটি ফুটবল মাঠে অন্তত ৫০ জনকে জড়ো করে তাদের শিরশ্ছেদ করা হয়। দেশটির গণমাধ্যম আরও জানায়, জঙ্গিরা নারী ও শিশুদের অপহরণ করেছিল। তবে সিএনএন এসব তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। একটি সূত্র সিএনএসকে জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এর আগে সরকার অভিযান চালিয়েছিল।
অভিযানের প্রতিশোধ হিসেবে তারা সাধারণ মানুষকে এভাবে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করছে। মোজাম্বিকে তিন বছর ধরে সশস্ত্র জঙ্গিদের চালানো এসব হামলার ঘটনায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল নিন্দা জানিয়েছে। জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানগাওয়া এক টুইট বার্তায় বলেন, এ ধরনের বর্বর আচরণ যেখানে মাথাচড়া দেবে, সেখান থেকে এর মূলসহ উপড়ে ফেলতে হবে। জিম্বাবুয়ে যেকোনো ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত।’ ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডোমিনিক রাব এক টুইট বার্তা বলেন, ‘ক্যাবো দেলগাদো প্রদেশে কয়েক ডজন মানুষকে শিরশ্ছেদ করে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাজ্য হতবাক। এটা উত্তর-পূর্ব মোজাম্বিকের ক্রমবর্ধমান আক্রমণের ঘটনার একটা অংশ। এ দ্বন্দ্ব মোকাবিলায় আমরা মোজাম্বিক সরকারের পাশে আছি।’ এক টুইট বার্তায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘মোজাম্বিকে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে, মেয়েদের অপহরণ করা হয়েছে, গ্রামগুলো লুট করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসের বীজ বপনের জন্য একটা ধর্মকে ব্যবহার করছে বর্বররা। ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদ একটি আন্তর্জাতিক হুমকি, যা প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিকভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
২০১৭ সাল থেকে দেশটির গ্যাসসমৃদ্ধ কাবো দেলগাডো অঞ্চলে এ ধরনের হামলা চালিয়ে আসছে সশস্ত্র জঙ্গিরা। এখন পর্যন্ত সেখানকার ২ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে তারা। এ ছাড়া তাদের অত্যাচার-নির্যাতনে প্রাণ হারানোর ভয়ে ঘর ছেড়েছে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ। এই সশস্ত্র জঙ্গিদের মাধ্যমে আফ্রিকায় নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর তৎপরতা চালাচ্ছে আইএস। দারিদ্র্য ও বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে আফ্রিকার তরুণদের নিয়োগ দিয়ে ওই অঞ্চলে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের লড়াই জোরালো করছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডোমিনিক রাব এক টুইট বার্তা বলেন, ‘ক্যাবো দেলগাদো প্রদেশে কয়েক ডজন মানুষকে শিরশ্ছেদ করে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাজ্য হতবাক। এটা উত্তর-পূর্ব মোজাম্বিকের ক্রমবর্ধমান আক্রমণের ঘটনার একটা অংশ।
এ দ্বন্দ্ব মোকাবিলায় আমরা মোজাম্বিক সরকারের পাশে আছি।’ এক টুইট বার্তায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘মোজাম্বিকে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে, মেয়েদের অপহরণ করা হয়েছে, গ্রামগুলো লুট করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসের বীজ বপনের জন্য একটা ধর্মকে ব্যবহার করছে বর্বররা। ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদ একটি আন্তর্জাতিক হুমকি, যা প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিকভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
২০১৭ সাল থেকে দেশটির গ্যাসসমৃদ্ধ কাবো দেলগাডো অঞ্চলে এ ধরনের হামলা চালিয়ে আসছে সশস্ত্র জঙ্গিরা। এখন পর্যন্ত সেখানকার ২ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে তারা। এ ছাড়া তাদের অত্যাচার-নির্যাতনে প্রাণ হারানোর ভয়ে ঘর ছেড়েছে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ।
এই সশস্ত্র জঙ্গিদের মাধ্যমে আফ্রিকায় নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর তৎপরতা চালাচ্ছে আইএস। দারিদ্র্য ও বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে আফ্রিকার তরুণদের নিয়োগ দিয়ে ওই অঞ্চলে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের লড়াই জোরালো করছে।