ছবি: বি এম রাকিব হাসান, খুলনা
বি এম রাকিব হাসান, খুলনা: শীত আসতে আর বাকি নেই। শীতের আগমনী বার্তা রবি মৌসুম শুরুর জানান দিচ্ছে। এরই মধ্যে খুলনা জেলার ৯টি উপজেলায় শীতকালীন সবজির চাষ শুরম্ন করেছেন চাষিরা। প্রতি বছর আগাম উৎপাদিত সবজি বাজারে তুলে বিক্রয়ে ভালো দাম পেয়ে থাকেন চাষিরা। তাই আগাম সবজি আবাদে আগ্রহী তারা। জেলার নয় উপজেলার কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যসত্ম হয়ে পড়েছেন।
সূত্রমতে, খর্ণিয়া, ভদ্রদিয়া, বরাতিয়া, নরনিয়া, কাঠাঁলতলাসহ বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা ব্যসত্ম শীতকালীন সবজি চাষে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় শীতকালীন সবজি চাষ লাভবান হওয়ায় কৃষকেরা এদিকেই ঝুঁকে পড়েছেন বলে জানান এলাকার চাষিরা। শীতের শুরুতেই বাজারে বিক্রি করে বেশি টাকা আয়ের আশায়
চাষিরা এখন জমিতে শীতকালীন শাকসবজির চারা বপন ও পরিচর্যার কাজ করছেন।
এ সমস্ত এলাকায় চাষ হচ্ছে- আলু, মূলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, ঢেঁড়স, লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক, লাউ অন্যতম। তবে ডুমুরিয়া উপজেলায় এ বছর ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ একটু বেশিই দেখা গেছে। সবজির মান ভালো হওয়ায় পইকারীর পাশাপাশি খুচরা বাজারেও নতুন সবজির চাহিদা বেশ ভালো থাকে, দামও বেশি পাওয়া যায়।
কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতর খুলনা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে এ জেলায় শীতকালীন লালশাকের আবাদ হয়েছে ৫২০ হেক্টর জমিতে, ঘৃতকাঞ্চন ২৭৪ হেক্টর জমিতে, গীমাকমলী ২৭০ হেক্টর জমিতে, পালংশাক ৩৭১ হেক্টর জমিতে, শিম ৪৬৭ হেক্টর জমিতে, মুলা ৩২৩ হেক্টর জমিতে, টমেটো ৭৬৬ হেক্টর জমিতে, বাঁধাকপি ২৪০ হেক্টর জমিতে, ফুলকপি ৩৬২ হেক্টর জমিতে, ওলকপি ৫১৯ হেক্টর জমিতে, বিটকপি ১২০ হেক্টর জমিতে, বেগুন ৭২৪ হেক্টর জমিতে, লাউ ৩৫৭ হেক্টর জমিতে, লাউ ডগার শাক ৯৩ হেক্টর জমিতে, গাজর ২৩ হেক্টর জমিতে, শসা ৮৯ হেক্টর জমিতে, মিষ্টি কুমড়া ২৯০ হেক্টর জমিতে, বরবটি ১৩২ হেক্টর জমিতে, কাঁচকলা ১৮৪ হেক্টর জমিতে, উচ্চে ২৬৭ হেক্টর জমিতে, পেঁপে ১৭৫ হেক্টর জমিতে, ডাটাশাক ১৬২ হেক্টর জমিতে, আলু ২৯০ হেক্টর জমিতে, সরিষা ২৭০ হেক্টর জমিতে, ভুট্টা ৩২ হেক্টর জমিতে, আখ ৬০ হেক্টর জমিতে, মরিচ ১৬৫ হেক্টর জমিতে, মসুর ৭৫ হেক্টর জমিতে ও খেসারী ৭৫ হেক্টর জমিতে।
ডুমুরিয়া গ্রামের কৃষক মহিতোষ জানান, আগাম সবজি চাষ করে বেশি লাভবান হয়ে থাকি। জেলার বিভিন্ন স’ান থেকে পাইকার এসে উৎপাদিত এসব সবজি মাঠ থেকেই আমাদের কাছ থেকে ক্রয় করে নিয়ে যায়। তারা দেশের বিভিন্ন প্রানেত্ম নিয়ে গিয়ে থাকেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নজরম্নল ইসলাম জানান, এ উপজেলায় ব্যাপক সবজির আবাদ হয়। সারা বছরের তিনটি মৌসুমে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সবজির আবাদ হয়ে থাকে। খুলনার জেলা ৯ উপজেলায় যত জমিতে সবজির আবাদ হয়ে থাকে তার অর্ধেকের বেশি সবজির আবাদ হয় ডুমুরিয়াতে।
ছবি: বি এম রাকিব হাসান, খুলনা