মিয়া পারভেজ আলম মোল্লাহাট প্রতিনিধি :
মোল্লাহাটে এক উপ-সহকারি পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই)সহ চার পুলিশ সহদস্য ও দুইজন স’ানীয় লোক মিলে ৬জনের বিরম্নদ্ধে অন্যায়ভাবে গভীররাতে ঘরে ঢুকে অত্যাচার-জুলুম ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোলস্নাহাটের গাংনী পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মোসত্মফার নেতৃত্বে দারিয়ালা সরকারী আবাসনের একটি দালান ঘরে গত ২৩ মে ওই ক্যাম্পের আরও তিন পুলিশ সদস্যসহ স’ানীয় দুই ব্যক্তির জোগসাজসে ওই ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার প্রতিকার দাবীতে বাগেরহাট পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছে ভিকটিম পরিবারটি।
অভিযোগ ও ভিকটিম সুত্রে প্রকাশ-২৩মে দিনগত রাত অনুমান ১২টার দিকে দারিয়ালা আবাসনে গিয়ে পুলিশ পরিচয়ে তাদেরকে ডাকেন এএসআই মোসত্মফাা। এরপর দরজা খুলতেই ওই গৃহকর্তা আঃ অদুদ শিকদার’কে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে শুরম্ন করে অত্যাচার। এরপর ওই ঘরে তলস্নাশির নামে সব কিছু তছনছ করে। তখন গৃহকর্তা এসবের কারণ জানতে চাওয়ায় তাকে আবার চড়-থাপ্পড় মারে এবং কোন শব্দ না করে চুপ থাকতে বলে এএসআই মোসত্মফা। ওই সময় বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করাসহ একলড়্গ টাকা দাবী করেন মোসত্মফা। একপর্যায়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে অবশেষে রাত তিনটার পর হ্যান্ডকাপ খুলে/ছেড়ে দিয়ে যায়। যাবার সসময় এ ঘটনা যেন কেউ না জানে, সে বিষয়ে নিষেধ করাসহ দারোগার সেখানো কথা ভিডিও করে নিয়ে যায় ওই দারোগা। ওই ঘটনার বিচার চান ভিকটিম পরিবার।
ওই বিষয়ে সংশিস্নষ্ট গাংনী ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার উজির আলী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মাফিজ চৌধূরী ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ভুলু মিয়া শেখ বলেন-ওই বিষয়ে তারা খোজখবর নিয়ে যে ধারনা পেয়েছেন তাতে অভিযোগের ঘটনা সঠিক। এর বিচার হওয়া উচিৎ।
ওই বিষয়ে বারবার মোবাইল করলেও রিসিভ না করায় এএসআই মোসত্মাফার বক্তব্য পাওয়া যায় নাই।