আমিরুল ইসলাম অল্ডাম : গাংনীতে স্বামী পরিত্যক্তা এক মহিলার সাথে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে জনতার ধাওয়ায় পালিয়ে গেছে সূর্যের হাসি চিহ্নিত ক্লিনিকের নৈশ প্রহরী হাফিজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার মধ্যে রাতে বাঁশবাড়িয়া পলাশীপাড়া সূর্যের হাসি চিহ্নিত ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। হাফিজুল ইসলাম বাঁশবাড়িয়া পলাশীপাড়া (চইরম্নপাড়ার) মুলুক হোসেনের ছেলে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান,সূর্যের হাসি চিহ্নিত ক্লিনিকের নৈশ প্রহরী হাফিজুল ইসলাম ক্লিনিকের মধ্যে এক মহিলার সাথে অনৈতিক কাজ করছে এমন সংবাদ পেয়ে স’ানীয়রা বাইরে গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস’ল গিয়ে স্বামী পরিত্যক্ত ঐ মহিলাকে পাওয়া গেলেও হাফিজুল ইসলাম পালিয়ে যায়। পরে ঐ মহিলাকে তার পরিবারের সদস্যদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
গাংনী থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান (সিনিয়র) জানান,হাফিজুল ক্লিনিকে চাকুরীর অনত্মরালে বেশ কিছুদিন যাবৎ অনৈতিক কাজকর্ম চালিয়ে আসছিলো বলে জানায় স’ানীয় লোকজন। ঘটনার রাতে বাঁশবাড়িয়া পশ্চিমপাড়ার স্বামী পরিত্যক্তা নারীর সাথে ফূর্তি করার সময় দু’জনকে তালাবদ্ধ রাখা হলেও কৌশলে প্রাচীর কিংবা দু’তলার উপর থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায় হাফিজুল ইসলাম। পরে তালা খুলে এ মহিলাকে পাওয়া যায় ।পরে পুলিশের কাছে সে সব ঘটনার বিবরন দেয় সে।
স’ানীয় আবুল হোসেন ও সাহাবুল ইসলাম জানান, সূর্যের হাসি চিহ্নিত ক্লিনিকের নৈশ প্রহরী হাফিজুল ইসলাম ক্লিনিকের সামনে একটি দোকানের ব্যবসা রয়েছে। রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন সময়ে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে তার বিরম্নদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে হাফিজুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। এছাড়া রম্নগী ও তার স্বজনদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচনের কারনে তাকে বেশ কয়েকবার মৌখিক ভাবে সতর্ক করেছিলো কর্তৃপড়্গ। স’ানীয়রা হাফিজুল ইসলামের বিচার দাবি করেছেন।
সূর্যের হাসি চিহ্নিত ক্লিনিকের ম্যানেজার আব্দুল হান্নান জানান,ঘটনার রাতে তিনি কুষ্টিয়াতে ছিলেন। অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটার পর গাংনী থানা পুলিশ ও পলাশীপাড়া সমাজ কল্যান সমিতির নির্বাহী পরিচালক মোশাররফ হোসেন বিষয়টি তাকে অবগত করেন। তিনি আরো বলেন পুলিশকে তৎড়্গণাৎ বলেছি হাফিজুল অন্যায় করলে তার সাজা হবে এতে ক্লিনিক কর্তৃপড়্গের পড়্গ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। হাফিজুলের দায় সূর্যের হাসি চিহ্নিত ক্লিনিক কর্তৃপড়্গ নেবেনা।
পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, তিনি বাইরে রয়েছেন পরে এ বিষয়ে কথা বলবেন।
এদিকে হাফিজুল ইসলামের অনৈতিক কর্মকান্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্য’র সৃষ্টি হয়। শুরম্ন হয় আলোচনা সমালোচনা।
এ বিষয়ে কথা বলতে হাফিজুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে লাইন কেটে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখেন।
এ বিষয়ে জানতে স্বামী পরিত্যক্তা ঐ মহিলার বাড়ি বাঁশবাড়িয়া পশ্চিম পাড়ায় গেলে তার মা জানান সে বর্তমানে ধলা গ্রামে অবস’ান করছে। এদিকে হাফিজুল ইসলাম ঐ মহিলাকে অর্থের বিনিময়ে নাকি প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুলিশের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স’ানীয়রা।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান,স্বামী পরিত্যক্ত ঐ মহিলা যদি কোন অভিযোগ দেয় তাহলে আইনগত ব্যবস’া নেয়া হবে।