আমিরুল ইসলাম অল্ডাম : গাংনীর ছাতিয়ান গ্রামে তুচ্ছ টনাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য লিটন একই গ্রামের আসাদুল ইসলাম নামের একজনকে কুপিয়ে জখম করেছে। আজ রবিবার দুপুরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লিটন তাকে কুপিয়ে আহত করে। আহত আসাদুল বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত আসাদুল ইসলাম জানান,শনিবার একটি মামলা তদনত্ম করার জন্য গাংনী থানার এক এসআই ছাতিয়ান গ্রামে আসে। এসময় আমরা কয়েকজন বন্ধু বাজারের পার্শে বসে থাকাবস্থায় মটমুড়া ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম লিটন ও তদনেত্ম আসা পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে আমাদের কাছে আসে এবং মাদক আছে মর্মে সার্চ করে।
মাদক না পেয়ে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম লিটন পুলিশের সাথে চলে যাওয়ার চিৎকার করে বলেন এই গ্রামের বুকে কোন মাদক ব্যবসায়ী কিংবা সেবনকারীরস্থান হবেনা। আজ রবিবার ১২ টায় ইউপি সদস্য’র ভাই মিজান গাঁজা বের করে আমাদের দেখিয়ে বলে আমি গাঁজা খাবো কে ঠেকাই দেখবো। এসব কথাবার্তা বলার এক পর্যায় বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। পরে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম লিটন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার বাম হাতে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়।
কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আব্দুল আলিম জানান, আসাদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম লিটনকে আটক করে ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
রবিবার দুপুর ২টায় তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আহত আসাদুল ইসলাম ছাতিয়ান গ্রামের শফিউল ইসলামের ছেলে।
এদিকে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম লিটন পুলিশ হেফাযতে ও তার ভাই মিজান পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান,বিষয়টি নিয়ে পুলিশ রহস্য বের করার চেষ্টা করছে। এছাড়া আবেদনের প্রেড়্গিতে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ্যা নেয়া হবে।