স্টাফরিপোটার (০৩/১২/১৯)ঃ মেহেরপুরের গাংনীতে সরকারি ভাবে আমন ধান ক্রয়ের লক্ষে কৃষক বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগে লটারির অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম ও তার লোকজন। অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে এসে তার উপজেলা কৃষি অফিসারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকেন। তবে কৃষি অফিসার বলছেন সময়ের অভাবে সঠিকভাবে কৃষক বাছাইয়ে কিছুটা অনিয়ম হয়েছে। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু কৃষক বাছাইয়ের লক্ষে আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত লটারীর কার্যক্রম স’গিত করা হয়েছে।
গাংনী উপজেলায় এ বছর সকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ১৬৮৮ মেঃ টন ধান ক্রয় করা হবে। কৃষিকার্ডের আওতাভুক্ত জনপ্রতি চাষির কাছ থেকে প্রতিকেজি ২৬ টাকা দরে একটন করে ধান ক্রয় করা হবে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলা পরিষদ হল রুমে কৃষক বাছাই কল্পে লটারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন উপজেলা কৃষি অফিস ও উপজেলা খাদ্য অফিস। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কৃষি অফিসার মনগড়া ভাবে অফিসে বসেই কৃষকদের নামের তালিকা প্রস্তত করেছেন। প্রকৃত চাষিদের বাদ দেয়া হয়েছে। তালিকা নিয়ে অনুষ্ঠানে উপসি’ত অতিথীবৃন্দ ,স’ানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের তোপের মুখে পড়ে কৃষি অফিসার কে এম শাহাবুদ্দিন আহমেদ। বিভিন্ন কৃষক অনুষ্ঠানে উপসি’ত হয়ে তালিকা প্রস্তততে অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় কৃষি অফিসারকে।
এ ব্যাপারে কৃষি অফিসার কেএম শাহাবুদ্দীন জানান, সময়ের স্বল্পতার কারণে কৃষকের নামের তালিকা প্রস’তে কিছুটা অসঙ্গতি থাকতে পারে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান পরিস্থি’তি নিয়ন্ত্রনে রাখতে এবং সকল আমন ধান চাষিকে তালিকাভুক্ত করনের লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় নতুন করে তালিকা প্রস্ততের নির্দেশ দেন।
মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লটারি ১২ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ করেছেন এতে আমার কোনো দ্বিমত নেই। আমিও চাই দু একদিন দেরি হলেও প্রকৃত কষকরা সরকারি মুল্যে তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করুক। এতে আমার এলাকার কৃষক উপকৃত হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার লটারি সাময়িক বন্ধ করে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।