অনলাইন সংস্করণ : দুদিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে দাম কমেছে ৭০-৮০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। আমদানি করা চায়না পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়।পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতোমধ্যে বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। সংকট মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে।রসনাবিলাসী বাঙালি পেঁয়াজ ছাড়া রান্না চিন্তাই করতে পারে না। পেঁয়াজের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের জন্য চিভ নামের মসলার জাত চাষে সাফল্যও পেয়েছেন গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা।মসলা গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, চিভ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা গবেষণা করে আসছেন। আর এতে সুফল্ও মিলেছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান, চিভের স্বাদ দেশীয় মসলা পেঁয়াজ–রসুনের মতো ও হজমে সাহায্য করে, রোগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং এর মধ্যে ক্যানসার–প্রতিরোধী গুণাগুণ রয়েছে।চিভে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘বি-১’, ভিটামিন ‘বি-২’, নায়াসিন, ক্যারোটিন ও খনিজ উপাদান বিদ্যমান। চিভ সাধারণত দেশের পাহাড়ি এলাকা সিলেট ও চট্টগ্রামে চাষ হয়। দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকা পাবনা, ফরিদপুর,নর্থ চায়না, সাইবেরিয়ান ও মঙ্গোলিয়া অঞ্চলের মসলাজাতীয়
বহুবর্ষজীবী চিভ নিয়ে সাফল্য পান ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. নূর আলম চৌধুরী। সহযোগী হিসেবে গবেষণায় অংশ নেন মোস্তাক আহমেদ, আলাউদ্দিন খান ও মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।মো. নূর আলম চৌধুরী বলেন, চিভের স্বাদ পেঁয়াজ–রসুনের মতো। এটি পৃথিবীর অনেক দেশে সাধারণত স্যুপ, সালাদ ও চায়নিজে ব্যবহৃত হয়।তিনি বলেন, পাতা লিলিয়ান আকৃতির ফ্ল্যাট, কিনারা মসৃণ ও এর ভালভ লম্বা আকৃতির। চিভ হজমে সাহায্য ও রোগ নিয়ন্ত্রণ করে। এর মধ্যে ক্যানসার–প্রতিরোধী গুণাগুণও বিদ্যমান রয়েছে। পেঁয়াজ–রসুনের বিকল্প হিসেবে আদর্শ একটি মসলাজাতীয় ফসল চিভ।