এটা যেন মগের মুল্লুক! কেউ দেখার নেই গাংনীতে বিনা রশিদে অতিরিক্ত খাজনা আদায়। হাট-বাজার ইজারাদারদের দৌরাত্ম চরমে

গাংনীতে বিনা রশিদে অতিরিক্ত খাজনা আদায়গাংনীতে বিনা রশিদে অতিরিক্ত খাজনা আদায়

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম:  গাংনীতে নিয়মনীতি অমান্য করে বিনা রশিদে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করার অভিযোগ উঠেছ্‌।কে্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে হাটবাজার ইজারাদারদের দৌরাত্ম চরম পর্যায়ে পৌঁছেছ্‌ে।এটা যেন মগের মুল্লুক! ঐ খুশি তাই করে যাচ্ছেন। হাট বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত খাজনা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।অন্যদিকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের কারনে বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। বিক্রেতারা বাধ্য হয়েই বেশী দামে তাদের পণ্য বিক্রি করছে।ফলে ভোক্তা অধিকার আইন লংঘিত হলেও এক্ষেত্রে প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই। এমনকি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যেন সব জেনেও না জানার ভাব করে।

গাংনীতে বিনা রশিদে অতিরিক্ত খাজনা আদায়

গাংনীর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবসি’ত ঐতিহ্যবাহী হাট-বাজার সপ্তাহে ২ দিন শনিবার ও মঙ্গলবার বসে। এই হাটে লক্ষাধিক নারীপুরুষ তাদের চাহিদানুযায়ী বিভিন্ন পণ্য কেনা কাটা করে থাকে।নানা পণ্য সাজিয়ে সহস্রাধিক বিক্রেতা বাজারের নির্ধারিত জায়গায় বসে।সরেজমিনে হাট বাজার ঘুরে জানা গেছে, সবজি বাজারের ছোট বড় বিক্রেতারা জানান, রশিদ ছাড়াই হাট কমিটির পক্ষ থেকে ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে খাজনা আদায় করে থাকে। পাশাপাশি পেীরসভার নিয়োগকৃত সুইপারদের ৪ টাকা থেকে ১০ টাকা দিতে হয়।এছাড়াও ছামাদ-সোবহান হোটেলের পার্শ্বে মালিকানা জায়গার নাম করে ৫০/৬০ জন ব্যবসায়ীর নিকট থেকে জনপ্রতি ৩০ টাকা করে খাজনা আদায় করা হয়ে থাকে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলু,বেগুন,মূলা,লেবু ,ঝাল পেঁয়াজ,লাল শাক,পালং শাক,সিম,পান, কলা, ডাব,নারিকেল,আখের রস, ঝাল মুড়ি, বিক্রেতারা জানায় , আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।অল্প কিছু পণ্য বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসলে অতিরিক্ত খাজনা সর্বমোট ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দিতে হয়। এছাড়াও আলু,বেগুন, ঝাল-পেঁয়াজ, শাক সবজি বিক্রেতারা আরও জানান, আমরা কাঁচা বাজার থেকে মাল ক্রয় করলে সেখানেও ১০০ টাকা করে খাজনা নেয়া হয়। বাজারের পার্শ্বে পাখিভ্যান বা আলমসাধু গাড়ি রাখলে সেখানেও গাড়ী প্রতি ৪০ টাকা করে খাজনা নেয়া হয়।

গাংনীতে বিনা রশিদে অতিরিক্ত খাজনা আদায়

একইভাবে মাছ বিক্রেতাদের নিকট থেকে ব্যবসায়ী প্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকা খাজনা, পৌর কর ২০-৩০ টাকা , পানি সরবরাহের জন্য ২০ টাকা এবং সুইপার কর বাবদ দিতে হয় ১০ টাকা করে। মুরগী বিক্রেতারা জানায়, আমাদের খাজনা দিতে হয় ব্যবসায়ী প্রতি ১০০ টাকা, দোকান কর বাবদ ২০ টাকা, পৌর ট্যাক্স বাবদ ২০ টাকা , সুইপার কর বাবদ ২০ টাকা সর্বমোট ১৬০ টাকা দিতে হয়। কয়েকজন মাংস বিক্রেতারা জানায়, মাংশের চট প্রতি খাজনা ১৫০ টাকা, পৌর কর ৪০ টাকা, পানি সরবরাহ বাবদ ৩০ টাকা, এবং সুইপার বাবদ ৩০ টাকা সর্বমোট আড়াইশ’ টাকা দিতে হয় যে কারনে আমরা কম দামে মাংশ বিক্রি করতে পারিনা।কারন জানতে বাজার ইজারাদার হাফিজুর রহমানের সাথে কথা বলতে চাইলে মোবাইল ফোন খোলা পাওয়া যাইনি।

গাংনীতে বিনা রশিদে অতিরিক্ত খাজনা আদায়

এব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান, হাট বাজার ইজারা সংক্রান্ত সরকারী নীতিমালার বাইরে কোন ইজারাদার অতিরিক্ত খাজনা আদায় করতে পারেন না। অতিরিক্ত হারে খাজনা আদায় করা হলে সরেজমিনে তদন্ত করে ইজারাদারের বিরু্‌দ্েধ ব্যবস’া নেয়া হবে। এছাড়াও হাট ইজারাদারকে অবহিত করা হয়েছে যে, রশিদ ছাড়া কোন রকম খাজনা আদায় করা আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ।
এব্যপারে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট গাংনী বাজারের সবজি ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের দাবি, সরেজমিনে তদন্ত করে বিনা রশিদে অতিরিক্ত খাজনা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে অইিনগত ব্যবস’া নিলে ভোক্তা অধিকার আইন প্রতিষ্ঠিত হবে।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post