মো: মাসুদ রানা, খুলনা: খুলনার কয়রা উপজেলার সুন্দরবনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৬) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দস্যু বাহিনীর প্রধান আমিনুলসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
এ সময় ঘটনাস’ল থেকে র্যাব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন র্যাবের দু’জন সদস্য। মঙ্গলবার সকালে জেলার কয়রা উপজেলার সুন্দরবনে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ঘটে।
র্যাব-৬’র অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ নূরুস সালেহীন ইউসুফ সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকালে সুন্দরবনে র্যাব-৬’র সঙ্গে জলদস্যু আমিনুল বাহিনীর ‘গুলিবিনিময়’ হয়। এতে আমিনুর ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড রফিকসহ চারজন নিহত হন। এ সময় র্যাবের দু’সদস্য আহত হয়েছেন।
রিকশা ধর্মঘটে অনড় কেসিসি,
ইজিবাইকের পোয়াবারো!
বি এম রাকিব হাসান : খুলনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যাটারিচালিত রিকশার ধর্মঘট শুরু হওয়ায় বিষয়টি শাপে বর হয়ে দেখা দিয়েছে ইজিবাইক চালকদের জন্য। তাদের এখন পোয়াবারো। অতিরিক্ত ইজিবাইকে শহরে অরাজকতা, অপরদিকে সুযোগ বুঝে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করছেন তারা।
এদিকে খুলনা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় অবস’ানে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। তিন দফায় সময় বাড়ানোর পর নগরীতে রিকশা চলাচল বন্ধের সময়সীমা শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর)।
এদিকে, সময় শেষ হলেও মালিক ও চালকরা এখনও রিকশা থেকে ব্যাটারি অপসারণ করেননি। উল্টো সোমবার (১৪ অক্টোবর) থেকে কেসিসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা। অন্যদিকে, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কেসিসি নগরীর ৩৮৭টি রিকশার ব্যাটারি চার্জিং পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মাধ্যমে অভিযান শুরু হয়েছে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) কর্তৃক নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যাটারিচালিত রিকশা ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
ধর্মঘটের কারণে বিভাগীয় নগরী খুলনায় যাত্রীরা পড়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগে। বাড়তি ভাড়া দিয়ে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে টেম্পু, মাহেন্দ্র ও ইজিবাইকে। আবার বাহনের অভাবে পায়ে হেঁটেও অনেককে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।
আব্দুস সালাম নামের এক যাত্রী বলেন। ‘ধর্মঘটের কারণে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইজিবাইকে বেশি ভাড়া দিয়ে আসতে হচ্ছে। আর পায়ে চালিত রিকশা তো পাওয়াই যাচ্ছে না।’
মো. কামরুজ্জামান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘অসুস’ শিশু কন্যাকে নিয়ে শিশু হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছি। কিন’ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কোন রিকশা পাইনি। যে কারণে নিরুপায় হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই ইজিবাইকে উঠতে হয়েছে।’
ব্যাটারি চালিত রিকশাচালক-মালিক ঐক্য পরিষদের খুলনা মহানগর সহ-সভাপতি সেলিম শিকদার বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে প্রতিবাদে আমাদের ধর্মঘট চলছে। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য ইতিমধ্যে আমরা কেসিসি মেয়র, জেলা প্রশাসক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাছে স্বারকলিপি পেশ করেছি।’
কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফায় গত ১ জুলাই থেকে খুলনা মহানগরীকে ব্যাটারিচালিত রিকশামুক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন’ মানবিক দিক বিবেচনা করে সেই সময় তিন মাস বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। পরে কেসিসির বিশেষ সাধারণ সভায় আবারও সময় বাড়িয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়। কিন’ রিকশা মালিক-চালকরা মেয়রের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।
কেসিসির সচিব মো. আজমুল হক বলেন, ‘কোনও আন্দোলনের হুমকিতে কেসিসি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে না।’
কেসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র আমিনুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘চালক-মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে তিন দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে। এরপরও যদি কেউ নির্দেশনা না মানে তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস’া গ্রহণ করা হবে।’
বি এম রাকিব হাসান
খুলনা ব্যুরো:
১৫-১০-১৯