আমিরুল ইসলাম অল্ডাম ঃ গাংনীতে বিআরডিবি অফিসে হ-য-ব-র-ল অবস’া চলছে।নানা রকম অনিয়ম,দুর্নীতি ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।সমিতির গ্রাহকদের সাথে অসদাচরণ, তিক্ত বাক্য বিনিময় ও হৈচৈ এর ঘটনা প্রায়শঃ শোনা যাচ্ছে।এছাড়াও নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেও ১৯ বছরের পুরাতন সমিতির ৪০-৪২ জন সদস্যরা ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলা বিআরডিবি কার্যালয়ে নীতিমালানুযায়ী উপজেলা গোপালনগর বিলপাড়া সমিতি নামে একটি মহিলা সমিতি (৪২ জন সদস্যা বিশিষ্ট) দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ সুনামের সাথে ঋণ গ্রহণ ও সময় মত ঋণ পরিশোধ করে আসছিল। বিগত বছরগুলোতে নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আবার নতুনভাবে ঋণ গ্রহণের রেকর্ড রয়েছে।
সমিতির সভাপতি নাজেরা খাতুন জানায়, গত বছরে আমার সমিতির অনুকুলে( ৪২ জনের মধ্যে) ৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করেন। পাশাপাশি আমাদের সমিতির অনুকুলে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকারও বেশী সঞ্চয় এবং আনুমানিক ১ লাখ টাকা শেয়ার রয়েছে। তারপরেও অজ্ঞাত কারনে আমাদের সমিতি বাতিল করে ঋণ প্রদান করছে না।ঋণ প্রদানের কথা বলে আমাদেও নিকট থেকে অতিরিক্ত ৩ হাজার টাকাও নিয়েছে ইস্রাফিল। এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমাদের ঋণ সেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। নাজেরা খাতুন আরও জানায়, মাঠকর্মী ইস্রাফিল হক ও পিও সাহানা খাতুনের যোগসাজশে ডিপিইও মোস্তাফিজুর রহমান নানা অনিয়ম করে যাচ্ছে। সাহানা খাতুন আলমডাঙ্গা থেকে এই অফিসে যোগদান করার পর থেকেই সমিতির সদস্যদের নানা ভাবে হয়রানি করছে।
সমিতির একাধিক সদস্যারা জানায়, আমরা দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ ঋণ সেবা পেয়ে আসছি। ঋণ প্রদানের সময় আমাদের ২০ হাজার টাকা দেয়ার কথা থাকলেও সঞ্চয়ের নামে প্রতিবার ১ হাজার টাকা কর্তন কওে রাখা হতো। এখন আমাদের শেয়ার ও সঞ্চয়ের টাকা নামমাত্র ৩/৪ হাজার টাকা করে ফেরত দেয়া হয়েছে।এতদিনের শেয়ার ও সঞ্চয়ের টাকা ও লাভ থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা এর বিচা চাই।আরও জানা গেছে,মাঠকর্মী ইস্রাফিল নানাভাবে প্রলোভন দিয়ে গ্রাহকদের পাশ বহি সব সময় কাছে রেখে নয়-ছয় করেছে। কিস্তির টাকা পরিশোধ থাকলেও পাশ বইয়ে না উঠিয়ে হয়রানি করেছে।আমরা জেলা প্রশাসকের নিকট বিচার চেয়ে আবেদন করবো।
এব্যাপারে বিআরডিবির কর্মকর্তা মোসতাফিজুর রহমান বলেন, গাংনী উপজেলায় আমাদের সমিতি রয়েছে ১১৯ টি। আমাদের কাছে নানা অভিযোগের কারনে এবছর ৪ টি সমিতির কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে গোপালনগর বিলপাড়া সমিতিও রয়েছে।সমিতির সভাপতি নাজিরা খাতুন আমাদের তথ্য গোপন করে নিজেই ১৩-১৪ জনের নামে ঋণ গ্রহণ করে থাকেন। সেকারনে অনেকেই ঋণ থেকে বঞ্চিত হয়। আমাদের কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার আলোকে এসব সমিতি বাতিল করেছি। আমরা তাদের সমুদয় সঞ্চয় ও শেয়ার ফেরত দিয়েছি।