এম শিমুল খান, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডের থার্ড প্লান্ট প্রজেক্টের ওয়্যার হাউজে সিবিএ-র আঞ্চলিক অফিস হিসেবে ব্যবহৃত একটি কক্ষে তালা লাগিয়ে দেওয়ায় প্রতিবাদে কর্র্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধুর একটি ছবি ভাংচুরের অভিযোগ করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় ইডিসিএল-এর থার্ড প্লান্ট প্রজেক্টে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিসি’তি শান্ত করে।
ইডিসিএল-র সিবিএ নেতা কাজী ইউসুফ বলেন, গত এক বছর ধরে তারা ওয়্যার হাউজের ওই কক্ষটি শ্রমিকলীগ বি-২১৮৯ এর আঞ্চলিক অফিস হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আকস্মিক ভাবে কক্ষটিতে তালা লাগিয়ে দেয় কতৃপক্ষ। এছাড়া সিবিএ-র আঞ্চলিক অফিস হিসেবে ব্যবহৃত ওই কক্ষের দেওয়ালে টাঙ্গানো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ছবি ভাংচুরের অভিযোগ করেন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচার দাবী করেন।
এ ব্যাপারে ইডিসিএল-এর থার্ড প্লান্ট প্রজেক্টের সাইট ইনচার্জ ও ডেপুটি ম্যানেজার মাফিজুর রহমান শেখ বলেন, একটি শ্রমিক সংগঠন প্লান্টের ওয়্যার হাউজের একটি কক্ষ দখল করে তাদের অফিস হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। প্লান্টটি আগামী ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাওয়ার কথা রযেছে। এটা প্রধানন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রজেক্ট। ওয়্যার হাউজে আমরা প্রজেক্টের মালামাল রেখেছি। এছাড়া আঞ্চলিক পর্যায়ে সিবিএ-র কোন অফিস থাকার কোন অনুমোদন নেই। তিনি বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে কোম্পানির ব্যবস’াপনা পরিচালক অধ্যাপক এহসানুল কবির জগলুল বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস’া নেওয়া হবে। তবে জগলুলের ধারণা, কর্মকর্তারা এ ঘটনা ঘটায়নি।
(ছবি আছে ছবি নং-২)
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় চোখ হারাতে বসেছে ভ্যান চালক জামাত মোল্যা
এম শিমুল খান, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলায় চোখ হারাতে বসেছেন ভ্যান চালক জামাত মোল্যা (৪৫)। আহত ভ্যান চালককে প্রথমে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস’ার অবনতি হলে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভ্যান চালক জামাত মোল্যা গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের রাতকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর উপজেলার মাজড়া বাজার থেকে জামাত মোল্যার ভ্যানে তিনজন যাত্রী নিয়ে রাতকান্দি গ্রামে যাচ্ছিলেন। রাতকান্দি গ্রামের সোহেল শেখের বাড়ির কাছে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একদল লোক রামদা, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে ভ্যান চালক জামাতের ওপর হামলা করে ভ্যানের গতিরোধ করে। এতে ভ্যান চালক জামাত মোল্যা রাস্তায় পড়ে যায়। পরবর্তীতে ভ্যানে থাকা যাত্রীদের বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে ওই দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তদের হামলায় ভ্যান চালক জামাত মোল্যাসহ ইকলাছ, সুজন ও আজিম নামে চারজন গুরুত্বর আহত হন। আহতদের স’ানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কাশিয়ানী হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুত্বর আহত জামাত মোল্যাকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জামাতের ডান চোখ ও মাথায় প্রচন্ড আঘাত লাগে। তার অবস’ার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জামাত মোল্যার স্ত্রী সাবিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, ভ্যানের যাত্রীদের সাথে ওই গ্রামের ইমরুল সরদারের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। তার নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আব্দুল মুহিদ জানান, জামাতের চোখের অবস’া খুবই খারাপ। তবে চোখ ভাল করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় জামাত মোল্যার আত্মীয় রেজা শেখ বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আজিজুর রহমান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ