আবরার হত্যা মামলার আসামিরা। ছবি: kbdnews.com
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি মাজেদুল ইসলামকে রিমান্ড শেষে শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ আসামির ১৬ জন এবং এজাহারের বাইরে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এজাহারভুক্ত ৩ আসামি জিসান (২১), এহতেশামুল রাব্বি তানিম (২০) এবং মোর্শেদ (২০) এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। এরা সবাই বুয়েটের শেরেবাংলা হলে থাকতেন।পুলিশ বলছে, আবরার হত্যায় গুরুত্বপূর্ণ সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত যে তিনজনকে গ্রেফতার করা যায়নি তারা গুরুত্বপূর্ণ আসামি নয়। তবে যে ৬ জন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে তাদের মধ্যে তিনজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ডিবি সূত্র বলছে, মামলার নির্ভুল চার্জশিট দেয়ার ওপরই তাদের এখন সব মনোযোগ।এদিকে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও বলেছেন, আবরার হত্যার ঘটনায় আমরা খুব শিগগিরই একটা নির্ভুল চার্জশিট দেব। যাতে করে বিচার বিভাগের কাছে কোনো প্রশ্ন না থাকে।
একটা নির্ভুল চার্জশিট দেয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে মন্ত্রী জানান।জানাতে চাইলে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম Kbdnews.com বলেন, চাঞ্চল্যকর এই মামলার রহস্য দ্রুতই উদ্ঘাটন করেছি। যেসব আসামি এখনও ধরা পড়েনি তারা গুরুত্বপূর্ণ আসামি নয়। এরই মধ্যে যে ৬ আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে তাদের মধ্যে ৩ জন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা ধরা পড়েনি তারা অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই এই মুহূর্তে আসামি ধরার দিকে মনোযোগী না হয়ে দ্রুত চার্জশিট দাখিল কার্যক্রমকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বিধি অনুযায়ী তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ১৩ নভেম্বরের মধ্যেই চার্জশিট দাখিল করা হবে।সূত্র জানায়, আবরার হত্যা মামলায় রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার মাজেদুল ইসলামকে (২১) ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয়। এ সময় আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান শুক্রবার যুগান্তরকে বলেছেন, রিমান্ডে আরও ৬ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ শনিবার মোয়াজ ও শামীম বিল্লাহকে আদালতে পাঠানো হবে।
গ্রেফতার না হওয়া এজাহারভুক্ত তিন আসামির মধ্যে জিসান হচ্ছে ১২ নম্বর আসামি। সে শেরেবাংলা হলের ৩০৩ নম্বর কক্ষে থাকত। ইলেকট্রনিকস্ ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিল। ১৬ নম্বর আসামি এহতেশামুল রাব্বি তানিম ছাত্রলীগের বুয়েট শাখা কমিটির সদস্য ছিল। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সে। ১৭ নম্বর আসামি মোর্শেদ (২০) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।