স্টাফ রিপোর্টার : গতকাল মতিঝিলের ৪টি ক্লাবে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ক্লাবের লোকজন আগেই পালিয়ে যায়। যার ফলে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে এসব ক্লাব থেকে বিপুল অর্থ, মাদক, জুয়া ও ক্যাসিনো সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে ক্লাবপাড়াগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ায় গা ঢাকা দিয়েছে ক্লাবের কর্মকর্তাসহ জুয়া, মাদক ও ক্যাসিনোর সাথে জড়িত লোকজন। এতে জনশূন্য হয়ে পড়েছে মতিঝিল ক্লাবপাড়া। এ কারণে গতকাল মতিঝিলের চারটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ, মাদক ও ক্যাসিনো সামগ্রী উদ্ধার করতে পারলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা গেছে, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও মোহামেডান ক্রীড়া চক্রে অবৈধ ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিশ। এসব ক্যাসিনোর সবগুলো মতিঝিল থানার ২০০ গজ থেকে ১০০ গজের মধ্যে রয়েছে।
এসব ক্লাবের মধ্যে ভিক্টোরিয়া ক্লাবে ক্যাসিনো খেলা হতো মতিঝিল ৯নং ওয়ার্ডের কমিশনার ও ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক ওরফে সাঈদের নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া চক্র ও মোহামেডান ক্রীয়া চক্রের ক্যাসিনোতেও যুবলীগ নেতাদের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সূত্র থেকে জানা গেছে, গতকাল রোববার যে চারটি ক্লাবে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেছে এই চার ক্লাবে ক্যাসিনো খেলা হয় বলে পুলিশকে দেয়া স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন গ্রেফতার হওয়া যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই গতকাল এই অভিযান পরিচালিত হয়।
গতকাল রোববার বিকেল ৩টা থেকে এ অভিযান শুরু করে বলে নিশ্চিত করেছেন মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের এডিসি শিবলি নোমান। তবে অভিযানের আগেই পালিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষের সব লোকজন। ক্লাবগুলো থেকে পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে প্রত্যেকটি ক্লাব থেকে ক্যাসিনোসহ জুয়া খেলার সরঞ্জাম জব্দ করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছেন, ভিক্টোরিয়া ক্লাব থেকে ক্যাসিনোর সরঞ্জাম ও নগদ এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি মদ ও সিসাও উদ্ধার করা হয়েছে। চারটি ক্লাব ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ক্লাবেই বিপুল পরিমাণ
ক্যাসিনো সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। জুয়া খেলার বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামও রয়েছে। পুলিশ ক্যাসিনো ব্যবহারের জন্য কয়েন ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করে। ডিসি আনোয়ার হোসেন জানান, ক্যাসিনো বন্ধ করার জন্য এ অভিযান। চারটি ক্লাবেই অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ক্যাসিনো সামাগ্রী, মদ ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ক্যাসিনো সামগ্রী এক দিনে আসেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশ বিষয়টি জানতেন না, তথ্য পেয়েই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।