স্টাফ রিপোর্টার : একটি সুসংগঠিত জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামকে বিভ্রান্ত করে নিজেদের ফায়দা লুটতে ‘আল্লাহর দল’ নামে সংগঠন পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছে র্যাব। সংগঠনটিতে নবী রাসূলদের নিয়মনীতি বহির্ভুত নানা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উগ্রবাদে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে বলেও জানায় র্যাব। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক সারওয়ার-বিন-কাশেম। গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক তিনটার সময় অভিযান চালিয়ে আল্লাহর দল ওরফে আল্লাহর সরকার নামের সংগঠনটির ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতার হওয়া সদস্যরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম শাহরুল মৃধা (৩৮), মনিরুজ্জামান মনির (৪০), এসএম হাফিজুর রহমান সাগর (৪৫) শফিউল মোযনাবীন তুরিন (২৭)। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি পেন ড্রাইভ, ১২ টি মোবাইল ফোন, সংগঠনের লিফলেট ও দাওয়াত পত্র এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব সম্বলিত একটি তালিকা জব্দ করা হয়। র্যাব-১ এর অধিনায়ক জানান, ১৯৯৫ সালে জঙ্গি সদস্য মতিন মেহেদী ওরফে মতিনুল হক এর নেতৃত্বে ‘আল্লাহর দল’ নামক জঙ্গি সংগঠনটি গড়ে ওঠে এবং ২০১৪ সালে মতিন মেহেদী গোপন নির্দেশে এটি ‘আল্লাহর সরকার’ নামকরণ করা হয়। এই সংগঠনটি বাংলাদেশের সংবিধানে বিশ্বাসী নয়। তাদের মূল লক্ষ্য, নাশকতায় লিপ্ত হয়ে সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা এবং তাদের কাঠামো অনুযায়ী শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। তিনি আরও জানান, সংগঠনটি অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের চেয়ে অনেক বেশি সুসংগঠিত। তারা এরইমধ্যে বেশ কিছু ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা রেখেছে। এমনকি এসব অর্থ দিয়ে অস্ত্র কেনার পরিকল্পনাও ছিল তাদের। তারা বর্তমানে যুদ্ধ অবস্থা চলছে বলে, ঈদ, কোরবানি, হজ পালন করে না, জুমার নামাজ আদায় করে না এবং প্রতি ওয়াক্তে শুধুমাত্র দু’রাকাত নামাজ আদায় করে। এমনকি ইসলামের কালেমার সাথে শেষ নবীর নাম যুক্ত করার ক্ষেত্রেও তাদের ভিন্ন মত রয়েছে। তারা মনে করে বর্তমান সময়ের জন্য জঙ্গি মতিন মেহেদী আল্লাহর বিশেষ দূত হতে পারে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের কি পরিমাণ সদস্য রয়েছে এবং কি পরিমান অর্থ রয়েছে সেটি তদন্ত চলছে। তবে অস্ত্র কেনার যে পরিকল্পনা ছিল তাদেরকে গ্রেফতারের কারণে আপাতত বন্ধ থাকছে। তাদের বিরুদ্ধে র্যাবের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।