খুলনায় মৎস্য অধিদপ্তরের ভরাটি খাল ও পুকুর

খুলনায় মৎস্য অধিদপ্তরের

 

বি এম রাকিব হাসান:  মৎস্য অধিদপ্তরের জলাশয় সংস্কার প্রকল্পের ভরাটি খাল ও পুকুর খননে সম্ভাবনার দ্বার খুলে যেতে পারে গ্রামীণ জনপদ। মৎস্য উদপাদন ও পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে। কৃষক মুক্তি পাবে খরা ও জলাবদ্ধতা থেকে। ভরাটি খালগুলো দখল মুক্ত হবে প্রভাবশালীদের হাত থেকে। ইতোমধ্যে খুলনার ৫টি উপজেলার ২৫টি খাল খননে সুফল পেতে যাচ্ছে প্রান্তিক মৎস্য চাষী ও কৃষকরা।
খুলনা জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকার ভরাটি খাল ও পুকুর খননের জন্য জলাশয় প্রকল্প গ্রহণ করে। যা সারা দেশে বিদ্যমান। এ প্রকল্পের অন্যতম বৈশিষ্ট হলো স’ানীয় জনগণ তাদের এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি কমিটি গঠন করে ভরাটি খাল চিহ্নিত করে। যে কমিটির নাম এলসিএস। এলসিএস কমিটি ভরাটি খাল চিহ্নিত করে তা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নিকট একটি আবেদন করবেন। পরবর্তীতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খালের অবস’ান পরিদর্শন করে সেটি খননের গুরুত্ব জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নিকট আবেদনসহ একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সেটি অনুমোদন করেন। খাল খননের পুরো কাজটি স’ানীয় জন অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। তবে সার্বিক কাজের তদারকি করেন তিনজন কর্মকর্তা। তারা হলেন, মৎস্য মন্ত্রণালয়ের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও একজন প্রকৌশলী। কাজ শুরু হওয়ার পর কাজের অগ্রগতি দেখে ধাপে ধাপে এলসিএস’র দলনেতার নামে চেকের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা হয়।khulna Pic-2

খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান, খুলনার দিঘলিয়া, তেরখাদা,রূপসা,ডুমুরিয়া ও কয়রায় মাত্র ২৫টি খাল খনন করায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হচ্ছে। দেশীয় জাতীয় মাছের চাষ ও অভয়ারণ্য সৃষ্টি করতে এ প্রকল্প সুদুর প্রসারী ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে দেশের অধিকাংশ খাল ও পুকুর ভরাট হয়ে গেছে। যে কারণে বর্ষা মৌসুমে বন্যা,জলাবদ্ধতার পাশাপাশি শুকনা মৌসুমে পানি সঙ্কট দেখা দেয়। ফলে কৃষক জমিতে ফসল ফলাতে পারে না। তেমনি বন্যা ও জলাবদ্ধতায় মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক কৃষক ও মাছ চাষী সর্বশান্ত হয়ে পড়ে। এপ্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এসব সমস্যা দূর হবে। পাশাপাশি খুলনার উপকূল এলাকার লবনাক্ততা কিছুটা হলে দূর হবে এবং মিষ্টি পানির আঁধার তৈরি হবে। যা এঅঞ্চলের মানুষের ভাগ্য খুলে যাবে। সম্ভাবনা দেখে দিবে মৎস্য উৎপাদনের নতুন মাত্রা।
তিনি বলেন, খুলনায় আরো কয়েক শ’ ভারাটি খাল রয়েছে। মাত্র ২৫টি খাল খননে আশার আলো দেখা দিয়েছে। তাই এ প্রকল্পে অধীনে খুলনাতে আরো বেশি বেশি খাল খনন করলে মাছ চাষীর পাশাপাশি কৃষক উপকৃত হবে। কর্মসংস’ান হবে অনেক মানুষের। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলের দেশী মাছের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। রক্ষা হবে দেশী জাতীয় মৎস্য সম্পদ। ফিরে আসবে অতীতের পরিবেশ ও প্রতিবেশ। ####

 

Post a Comment

Previous Post Next Post