মিয়া পারভেজ আলম মোল্লাহাট প্রতিনিধি: মোল্লাহাটে স’ানীয় দলা-দলীকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত হামলায় প্রতিপক্ষের অন্তত ৯টি বাড়ী-ঘর ভাংচুর-সীমাহীন লুট-পাট, দুই শিশুকে ছুড়ে ফেলে ও পাঁচ মহিলাকে কুপিয়ে-পিটিয়ে যখম করার ঘটনায় থানায় মামলা এবং এক আসামী আটক হয়েছে। গত রবিবার সন্ধায় হাড়িদাহ গ্রামের বিবাদমান এক পক্ষের পুরুষ লোকেরা বাড়ীতে না থাকায় আরেক পক্ষের লোকেরা ন্যাক্কার জনক এ ঘটনা ঘটায়।
মামলার বিবরণ ও ভিকটিম পরিবার সুত্রে জানা যায়-হাড়িদা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে দু’টি পক্ষের বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন ওই দু’টির এক পক্ষের পুরুষ লোকেরা পার্শবর্তী কাহালপুর গ্রামে ইফতার মাহফিলে যোগ দেন। এ সুযোগে (রবিবার সন্ধায়) ফজলুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান শেখ (৩০) ও মুজাহিদ শেখ (২৪)’র নেতৃত্বে অন্তত ২৮-৩০ জনের একদল লোক পরিকল্পিতভাবে দা, লাঠি, শাবল, ভেলা ও কুঠারসহ দেশীয় মারাত্নত অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলায় হানেফ শেখ, দেলোয়ার শেখ, জিকরুল শেখ, ইবাদ শেখ, রাজ্জাক মোল্লা, রোমান মোল্লা, লাভলু শেখ, আকু মোল্লা ও বাশি শেখের বাড়ীঘর ভাংচুরসহ নগদ টাকা, ফ্রিজ, টিভি ও বিভিন্ন প্রকার আসবাবপত্র লুট-পাট করে নিয়ে যায়। এসময় রোমান মোল্লার শিশু পুত্র ইয়াসিন মোল্লা (আঠারো মাস) ও মেয়ে ইশা মণি (৫)’কে ঘর থেকে বাহিরে ছুড়ে ফেলে হামলাকারীরা। এছাড়া ওই দুই শিশুর মা মুসলিমা (২৭), দেলোয়ার শেখের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম (৪৫), মেয়ে সুইটি আকতার (২০), রাজ্জাক মোল্লার স্ত্রী লাকি বেগম (২৫), ও লাভলু শেখের স্ত্রী পারভীন বেগম (৩২)’কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর যখম করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে মোল্লাহাট ও গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখবরে তাৎক্ষণিক ইউএনও মোহাম্মদ সাঈদ মোমেন মজুমদার এবং থানা ওসি কাজি গোলাম কবির ঘটনা স’ল পরিদর্শন করেন। পরে ওই রাতেই ক্ষতিগ্রস’দের পক্ষে মোঃ দেলোয়ার হোসেনের বাদীত্বে মামলা হয়। যার নং-০১, তাং-০২/০৬/১৯ ইং।
এ মামলার তদন্তকর্তা এস,আই, লুৎফর রহমান বলেন-গত সোমবার ওই গ্রাম থেকে হামলাকারী শফিকুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে এবং বাকীদের আটকের চেষ্টা চলছে।