কুষ্টিয়ায় স্বামী পরিত্যাক্তাকে কুপিয়ে হত্যা' আটক ৩

nihoto pic kushtia 28-6-19

নিহত সাবিনা ইয়াসমিন

কুষ্টিয়া থেকে শরিফ মাহমুদ  :   কুষ্টিয়ার খোকসার হেলালপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মধ্যবয়সী এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সাবেক স্বামী ও অপর দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিনগত গভীর রাতে উপজেলা সদরের খোকসা মডেল টাউন এলাকার বাড়ির বারান্দা থেকে সাবিনা ইয়াসমিন (৪০) নামের ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ঘরের বারান্দায় কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। ওই বাড়িতে সাবিনা একাই থাকতেন। তিনি ৩ সন্তানের জননী। ছেলে-মেয়েরা সবাই বাইরে থাকেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত থেকে সন্তানেরা মোবাইল ফোনে মা সাবিনার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন’ না পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হামিদা নামের এক প্রতিবেশীকে দিয়ে সাবিনার খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করে। রাত সাড়ে ১১টার পর তিনি খুন হয়েছেন বলে খবর পান সন্তানেরা।
রাতে পরিবারের লোকেরা ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ রাতেই মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাবিনার সাবেক স্বামী বাদশা, প্রতিবেশী হামিদা ও তার মেয়ে ঋতুকে আটক করে পুলিশ। এ ব্যাপারে নিহতের মেয়ে শ্যামলী বাদী হয়ে খোকসা থানায় মামলা করেছেন।
নিহতের ছেলে বাঁধন বলেন, ৬/৭ বছর আগে তার বাবার সঙ্গে তার মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এ ব্যাপারে পারিবারিক আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এ নিয়ে সাবিনা ইয়াসমিন এর সঙ্গে তার সাবেক স্বামীর বিরোধ চলে আসছিল।
বাধন আরো বলেন, তার মা টাকা দাদন দিতেন। সেই টাকায় তার পড়ালেখার খরচ দিতেন। টাকা নিয়ে বিরোধের সূত্রধরে এ খুনের ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সাবিনা যৌনকর্মী ছিলেন। এ নিয়ে বিরোধে খুন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। এর আগে দেহ ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে অপর দুই যৌন কর্মীসহ তাকেও ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাদক চোরাকারবারের অভিযোগও ছিল।
খোকসা থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার আইও কাফরুজ্জামান বলেন, খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই নারীর সাবেক স্বামী ও দুই নারীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ জানান, ময়না-তদন্তের জন্য মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়েরের পর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post