রাষ্ট্রায়ত্ত ৮টি জুট মিলের উৎপাদন বন্ধ খুলনায় ২৫ হাজার শ্রমিকের ৬৫ কোটি টাকা বেতন বকেয়া!

খুলনায়

বি এম রাকিব হাসান, খুলনা ব্যুরো: বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবিতে খুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত ৮টি জুট মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এই ৮ জুট মিলের ২৫ হাজার শ্রমিক তাদের পাওনা ৬৫ কোটি টাকার দাবিতে জুট মিলগুলো বন্ধ করে দেয়।
রোববার বিকালের পর থেকে একে একে মিলগুলো বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। বন্ধ করে দেয়া মিলগুলো হচ্ছে, প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিল, ক্রিসেন্ট জুট মিল, দৌলতপুর জুট মিল, স্টার জুট মিল, আলিম জুট মিল, ইস্টার্ণ জুট মিল, কার্পেটিং, জে জে আই জুটমিল।
মিল সূত্র থেকে জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত এ আট পাটকলে ২৫ হাজার শ্রমিকের ১১ সপ্তাহের প্রায় ৬৫ কোটি টাকা মজুরি বকেয়া রয়েছে। মজুরি না পাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক নেতা খলিলুর রহমান বলেন, ‘স্টার মিল দুপুর ৩টায়, প্লাটিনাম সন্ধ্যা ৬টায়, দৌলতপুর রাত ৮টায়, ক্রিসেন্ট রাত সোয়া ৮টায় বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা।’
ক্রিসেন্ট জুটমিলের সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘শ্রমিকরা ১১ সপ্তাহের মজুরি পায়না। শ্রমিকরা ধার-দেনা করে আর কতদিন চলবে? এ কারণে মিল বন্ধ করেছে শ্রমিকরা। এতদিন বিভিন্ন আন্দোলন করলেও আগে উৎপাদন বন্ধ করা হয়নি।’
পাটকল শ্রমিক লীগের খুলনা-যশোর অঞ্চলের আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, ‘পাট মন্ত্রণালয় ও বিজেএমসি’র সাথে বৈঠকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের কথা বলা হয়। কিন’ এ পর্যন্ত শ্রমিকদের মজুরি প্রদান করা হয়নি। এ কারণে ক্ষিপ্ত শ্রমিকরা মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।’
তিনি জানান, বর্তমানে আটটি জুট মিলের শ্রমিকদের ১১ সপ্তাহের মজুরি বাবদ প্রায় ৬৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।

সুন্দরবনে ‘বন্দুকযুদ্ধ’, রানা বাহিনীর ৩ সদস্য নিহত

কিশোর গুলিবিদ্ধ

খুলনা ব্যুরো:   সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের পশুর নদীর খোন্তা কোদাইল খালে বন্দুকযুদ্ধে রানা বাহিনীর তিন সদস্য নিহত ও দুই র‌্যাব সদস্য আহত হয়েছেন।

সোমবার সকালে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ঘটনাস’ল থেকে পাইপগান ও ওয়ান শুটারগানসহ চারটি অস্ত্র উদ্ধারের দাবি করেছে র‌্যাব।
র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. শামিম সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আহতদের মোংলা স্বাস’্যসেবা কেন্দ্রে পাঠানোর কর্তব্যরত চিকিৎসক দস্যু বাহিনীর তিন সদস্যকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা এ অভিযান চালান। এ সময় র‌্যাব সদস্যদের উপসি’তি টের পেয়ে দস্যুরা পালানোর চেষ্টা করে। পরে র‌্যাব সদস্যরা দস্যুদের ধাওয়া দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়।
খুলনা ব্যুরো:
০৬-০৫-১৯

Post a Comment

Previous Post Next Post