সাংবাদিক জামাল খাসোগি ধস্তাধস্তিতে নিহত হয়েছেন, এমন স্বীকারোক্তি সৌদি আরব তিনদিন আগেই দিয়েছিল। তবে তুরস্কসহ বিশ্ব নেতৃত্ব এই স্বীকারোক্তিতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত খাসোগিকে খুনের কথাই স্বীকার করে নিল দেশটি।
তবে এই খুনের ব্যাপারে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নির্দেশের কথা অস্বীকার করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের। এই খুনের ঘটনাকে মারাত্মক ভুল বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
সবশেষ গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদের সমালোচক হিসেবে পরিচিত জামাল খাসোগি। এরপর তার আর কোনও খোঁজ মেলেনি। তুরস্ক দাবি করে আসছিল তাকে কনস্যুলেটের ভিতরে হত্যা করা হয়েছে। সৌদি প্রথম অস্বীকার করে আসছিল।
তিন দিন আগে সৌদি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, কনস্যুলেটের ভিতরে ধস্তাধস্তিতে নিহত হয়েছেন খাসোগি। এজন্য গোয়েন্দা উপপ্রধানসহ দুজনকে বরখাস্ত করা হয়। আর গ্রেফতার করা হয় আরও ২২ জনকে, যারা সবাই সৌদি নাগরিক।
তবে সেই ব্যাখ্যায় তুরস্কসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সন্তুষ্ট ছিলেন না। তুরস্ক দাবি করছিল, খাসোগিকে হত্যার জন্য সৌদি থেকে একটি টিম এসেছিল। সেই টিমের হাতেই খুন হন খাসোগি। এমন আলোচনার মধ্যে শেষ পর্যন্ত দেশটি খাসোগিকে খুনের কথা স্বীকার করল।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই খুনের ঘটনায় দায়ীদের খোঁজে বের করতে এবং শাস্তি দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কর্তৃপক্ষের জ্ঞাতসারে তারা এটি করেননি। অবশ্যই এর মাধ্যমে তারা মারাত্মক ভুর করেছে। পরে তারা সেই ভুলকে আবার ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাও করেছে।তিনি আরও বলেন, তারা জানতো না খুনের পর তাকে কোথায় ফেলা হয়েছে। তাছাড়া যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেও তারা এ কাজ করেননি। এমনকি শীর্ষ গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ দুর্বৃত্তদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না।