আমিরুল ইসলাম অল্ডাম: গাংনীতে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক যৌন নির্যাতনের চেষ্টার অভিযোগে দুই ছাত্রের নামে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার বাওট গ্রামে যৌন নির্যাতনের চেষ্টার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দুজন শিক্ষার্থী পলাতক রয়েছে। অভিযুক্ত দু লম্পটের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক,জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। মামলার বাদী ও ছাত্রীর চাচা ছাতিয়ান গ্রামের রতন আলী জানান,তার ভাতিজা ক্লাস চলাকালে অসুস’্য হয়ে পড়ে। পরে শিক্ষকরা অসুস’্য জনিত কারনে মেয়েটিকে ছুটি দিয়ে বাড়ি যাওয়ার পরামর্শ দেয়। মেয়েটি বাড়ি ফেরার পথে বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র ছাতিয়ান গ্রামের ফজলুল রহমানের ছেলে নাহিদ মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাওট গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদের ছেলে রাফিদের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তারা দুজন যৌন নির্যাতরে চেষ্টা করে। মেয়েটা চিতকার করলে স’াণীয় লোকজন জড়ো হয়। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাতেই অভিযুক্ত নাহিদ ও রাফিদের নামে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুস্তাফিজুর রহমান জানান,স্কুল ছাত্রকে যৌন নির্যাতের চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ২৮ তাং ২২/০৯/১৮ ইং। মামলার আসামীদের গ্রেফতারে অভিযানের পাশাপাশি মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন জানান,অভিযুক্ত দুজন ছাত্রের বিচারের দাবিতে রবিবার সকালে মানববন্ধন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসারকে এ বিষয়ে স্বারক লিপি দেয়া হয়েছে। সোমবার বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে বৈঠকে অভিযুক্ত নাহিদ ও রাফিদকে বিদ্যালয় থেকে স’ায়ী বহিস্কার করা হবে। শিক্ষার্থীরা জানায়,তাদের সহপাঠিকে যৌন নির্যাতনকারী নাহিদ ও রাফিদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে ক্লাস বন্ধ সহ কঠোর আন্দোলন করা হবে। এদিকে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টার ঘটনায় এলাকায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার (পিপিএম) জানান,অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। যে কোন সময় মামলার আসামীরা গ্রেফতার হবে।