খুলনার রূপসায় কৃষি সেক্টরে ব্যাপক উন্নতি

 

কৃষি

বি এম রাকিব হাসান, খুলনা ব্যুরো: রূপসা উপজেলার সাবেক ও বর্তমান বটিয়াঘাটা উপজেলার কৃষি অফিসার মো. রবিউল ইসলামের কর্মদক্ষতায় কৃষি সেক্টরে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। তিনি বিগত ২০১৬ সালের ২ মার্চ রূপসা উপজেলায় যোগদান করেন। তারপর ২ বছর ১ মাস ২১ দিন রূপসায় কর্মরত ছিলেন। তার কর্মকালে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক গতিশীলতা সৃষ্টি হয়। সেবা গ্রহিতাদের কোন প্রকার হয়রানির শিকার হতে দেখা যায়নি। তার আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টায় কৃষকদের মাঝে ব্যাপক গতিশীলতা সৃষ্টি হয়। কৃষকদের চাষাবাদের ক্ষেত্রে যেকোন সমস্যা তার নজরে আসলে তাৎক্ষনিকভাবে সমাধানের ব্যবস’া গ্রহন করতেন। দূর্যোগ কবলিত ক্ষতিগ্রস’ কৃষকদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। যার কারনে পর পর ২ বছর উপজেলা উন্নয়ন মেলায় বিভিন্ন পর্যায় প্রতিযোগিতামূলক প্রদর্শনীতে রূপসা উপজেলা কৃষি অফিস প্রথম ও দ্বিতীয় স’ান অর্জন করার কৃতিত্ব লাভ করে। তাছাড়া খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পুরস্কারও অর্জন করে।
এ ব্যাপারে নৈহাটী গ্রামের সফল কৃষক আ. মান্নান জানান, রবিউল স্যারের মাধ্যমে চাষাবাদের ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগীতা পেয়েছি। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করায় একাধিক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মুজিবুর রহমান জানান, কৃষি অফিসার রবিউল ইসলাম বিনয়ী ও সদালাপী কর্মকর্তা ছিলেন। যার কারনে বিরি ২৮ ধানের প্রদর্শনী পেয়েছি। প্রকল্পটি তার পরামর্শে চাষাবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছি। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে ১০ ধানের ফলনে ক্ষতিগ্রস’ হওয়ায় তিনি সরকারী প্রনোদনা স্বরূপ ক্ষতিপুরনের সহায়তা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে কৃষি অফিসার রবিউল ইসলাম জানান, আমার কর্ম তৎপরতায় কৃষি সম্প্রসারন বাতায়ন নামে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এটুআই প্রকল্পের আওতায় পাইলট প্রকল্পটি খুলনা জেলার একমাত্র রূপসা উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হয়। যার কারনে উপজেলার তালিকাভুক্ত সকল কৃষক অনলাইনে নিবন্ধিত হয়েছে। যার কারনে কৃষি সেক্টরে উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post