কুষ্টিয়া থেকে শরিফ মাহমুদ : কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাজিব আহম্মেদ (২৮) কে ১০৭ পিচ ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলিসহ র্যাব আটক করার পর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়।রাতেই কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার ও সাধারণ সম্পাদক সাদ আহম্মেদ তাঁদের ফেসবুকে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেন।
ইয়াসির আরাফাত তাঁর ফেসবুকে উল্লেখ করেন, ‘কারও ব্যক্তিগত অপকর্ম, উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনৈতিক কর্মকান্ডের দায়ভার ছাত্রলীগ নেবে না। ছাত্রলীগে সন্ত্রাসবাদের কোনো ঠাঁই নেই। ছাত্রলীগ অস্ত্রে নয়, কলমের শক্তিতে বিশ্বাসী।বাবার টাকার গরম দেখাতে লিডারি দরকার নেই। সংগঠনের বাইরে গিয়ে ক্যাডারি করো।’
উল্লেখ, সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর এলাকায় রাজীবের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২)। রাজীবের শোয়ার ঘর থেকে ইয়াবা গুলি ও অস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব। এই ঘটনায় পরে দুটি মামলা করে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাজীবের বহিষ্কার আদেশের কপি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাঁদের ফেসবুক পেজে আপলোড করার পর অন্য নেতারাও তা পোস্ট করেন।
ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, বহিষ্কার আদেশের কপি পোস্ট করার হিড়িক দেখে মনে হচ্ছে, এটা খুবই বাহবার কাজ হয়েছে। বরং এতে সংগঠনের প্রতি মানুষের বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে। সেদিকটা লক্ষ্য করা উচিৎ ছিল ছাত্রলীগ নেতাদের।
শরিফ মাহমুদ
কুষ্টিয়া
১৮-৭-১৮ইং।