মেহেরপুরে কাঁঠালের বাম্পার ফলন

Capture

কেবিডিনিউজ: চলতি মধু মৌসুমে মেহেরপুর জেলায় কাঁঠালের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে প্রচুর কাঁঠাল উঠেছে। কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা কাঁঠাল থরে থরে সাজিয়ে মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার হাট-বাজারে ও ফুটপাতে বিক্রি করছে।
এ জেলার কাঁঠাল খুবই সু-স্বাদু। মেহেরপুর জেলায় প্রতি বছর বিপুল পরিমান কাঁঠাল উৎপন্ন হয়।
কিন’ কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগ কিংবা বন বিভাগ কর্তৃক কাঁঠাল বাগান সমপ্রসারনে তেমন উদ্যোগ নেই। জেলায় কি পরিমান কাঁঠাল গাছ রয়েছে সরকারি কোন দপ্তরে এর কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। এ জেলায় এবার কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও ভালো । কাঙ্খিত দাম পেয়ে বাগান মালিকরা খুশি। এছাড়া এ জেলায় কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা পাওয়ার আশায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ট্রাকযোগে চালান করছে। ফলে গরিবের ফল কাঁঠাল হলেও গরিব খেটে খাওয়া মানুষ পর্যাপ্ত কাঁঠাল কিনতে পারছেনা। পর্ূবের তুলনায় কাঁঠালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছ্‌ে । অপর দিকে বাগান মালিকরা কাঁঠালের দাম ভালো পাওয়ায় তারা নিজস্ব উদ্যোগে কাঁঠাল বাগান সমপ্রসারনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে॥
কাঁঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল । অথচ সরকারি ভাবে এর মান উন্নয়নের এ অঞ্চলে কোন গবেষনা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান, আনন্দবাস, রতনপুর, সোনাপুর,কেদারগঞ্জ ও ভবেরপাড়া, মেহেরপুর সদর উপজেলার রাধাকানতপুর চকশ্যামনগর, বন্দর, কুতুবপুর, শুভরাজপুর, শোলমারী, উজলপুর, আমদহ, আশরাফপুর, আমঝুপি এবং গাংনী উপজেলার ধানখোলা, কাজিপুর, ষোলটাকাও সাহারবাড়ি গ্রামে প্রচুর কাঁঠাল জন্মে। সবচেয়ে বেশি কাঁঠাল উৎপন্ন ও বিক্রি হয় বাগোয়ান, আমদহ ও ধানখোলা ইউনিয়নে। বর্তমানে এখানে একটি অর্থকারী ফল হিসাবে পরিচিত। এ জেলার রাসতার পার্শ্বে এই কাঁঠাল গাছ লাগানো হচ্ছে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বীজ থেকে চারা প্রস’ত করে বাগান করা হচ্ছে এবং জেলার নার্সারী মালিকরা চারা বিক্রি করছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, এ জেলার গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ৩/৪টি কাঠাল গাছ রোপন করা হয়েছ্‌ে এ জেলায় কয়েক লাখ কাঠাল গাছ রয়েছে। কিন- এ কাঁঠাল গাছ কেউ পরিচর্যা করে না। প্রকৃতির আবহাওয়ায় এ গাছ বড় হয়। বিনা যত্নে এ গাছ ফলন দেয়। পাকা কাঁঠালে ১ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম প্রোটিন, দশমিক ৩০ মিলিগ্রাম ফ্যাট, ২৬ দশমিক ১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম লৌহ, দশমিক ১১ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ রয়েছে। তাছাড়া কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ,বি,ও,ই রয়েছে। কাঁঠালের বিচিতে প্রচুর খাদ্যপ্রাণ রয়েছে। তরকারি হিসাবে কাঁঠালের বিচি খুবই জনপ্রিয়্‌ । কাঠালের বিচি ক্যানসার প্রতিরোধক বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রমানিত হয়েছে। কাঁঠালের অপ্রয়োজনীয় খোসা গবাদি পশুর প্রিয় খাবার। মেহেরপুরের গবাদি পশু শুধু কাঁঠালের খোসা বা ভুতা খেয়ে (সহায়ক খাদ্যসহ) কাঁঠালের ভরা মৌসুমে মোটাতাজা হয়ে থাকে। কাঁঠাল কাঠে ভালো ফার্নিচার হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post